কলকাতা: হ্যাপি আওয়ার্স (Happy Hours) অর্থাৎ, খুশির সময়। সামনেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি 'কাছের মানুষ' (Kacher Manush)। তার আগে প্রযোজনা সংস্থা দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স (Dev Entertainment Ventures)-এর তরফ থেকে শেয়ার করে নেওয়া হল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) ওরফে বুম্বাদার কিছু টুকরো টুকরো ভিডিও সিরিজ। নাম দেওয়া হল 'কাছের মানুষ' হ্যাপি আওয়ার্স। 


সেই সিজিনে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের জীবন নিয়ে ছোট ছোট মজার গল্প বললেন প্রসেনজিৎ। তার সত্যি মিথ্যে অবশ্য দর্শকদের বিচার্য। তবে সেই গল্পে মোড়া রইল অনাবিল খুশি, হাসি আর মজার মোড়ক। 


'মা.. আমি চুরি করিনি'... প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এই সংলাপ যেন কেউই ভুলতে পারে না কোনোদিন। কিন্তু এই সংলাপের পিছনে নাকি লুকিয়ে রয়েছে অন্য গল্প। ওইরকম দাঁতে দাঁত চেপে নাকি কথা বলতে চাননি প্রসেনজিৎ। তার আগেই অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটে গিয়েছিল একটা ঘটনা!  সেটা কী? 


'কাছের মানুষ' হ্যাপি আওয়ার্স-এ প্রসেনজিৎ জানালেন, একদিন ৩টে ফ্লোরে একসঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি। খুব তাড়ার মধ্যেই কাজ চলছে। হঠাৎ খুব জলতেষ্টা। ছুট্টে সাজঘরে গিয়ে দেখলেন সাজিয়ে রাখা রয়েছে জলের বোতল। তখন ছবির এত আয়োজন ছিল না, ফলে আইসপ্য়াক বা বক্স থাকত না কিছুই। একটা বোতল তুলে নিয়েই একটু তরল পদার্থ খেয়ে ফেলেন প্রসেনজিৎ। তারপরেই বোঝেন ওটা জল নয়, মুখে নকল দাড়ি গোঁফ লাগানোর আঠা। সেটিও রাখা ছিল জলের পাশেই।


আরও পড়ুন: Queen Elizabeth II Death: দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, নেটফ্লিক্সের 'দ্য ক্রাউন' সিরিজ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন নির্মাতারা


ততক্ষণে শট রেডি, সহকারী পরিচালক ডাকতে এসেছে, কিন্তু প্রসেনজিতের মুখে আঠা, দাঁত আটকানো। ওভাবেই শ্যুটিং ফ্লোরে চলে গেলেন তিনি। দাঁতে দাঁত চেপেই বলে ফেললেন.. মা আমি চুরি করিনি। ডায়গল হিট। আর তারপর থেকেই নাকি আবেগপ্রবণ শ্যুটিং করতে হলে মুখে আঠা দিয়ে নিতেন বুম্বাদা।


শেষমেশ বুম্বাদা যোগ করলেন, 'সারা জীবন এত দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছি যে দাঁতে দাঁত চেপে সংলাপ বলতে আমার কোনও সমস্যা হয় না।'