কলকাতা: পুজোর শপিং বিলকুল নাপসন্দ তাঁর। টলিউডের নতুন প্রজন্মের এই নায়ককে যদি পুজো প্রেমের কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, একগাল হেসে অভিনেতা উত্তর দেন.. 'গা ছুঁয়ে বলছি, সত্যিই কেউ নেই।' এক্কেবারে তাঁর সদ্য মুক্তি পাওয়া মিউজিক ভিডিও লাইন। পুজো মানেই তাঁর কাছে অন্যরকম শহর, কাজে ছুটি আর রাত জেগে ঠাকুর দেখা। এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে পুজো কল্পনা শেয়ার করলেন অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় (Rwitobroto Mukherjee)।


পুজো মানেই নাকি ছোটবেলায় ছিল বইখাতা তুলে রাখার অজুহাত। ঋতব্রত বলছেন, 'কোনোদিন আমি পুজোর সময় কাজ করতে ভালোবাসি না। সে সারা বছর যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, পুজোর কটাদিন ছুটি। ছোটবেলায় ঠিক এমন করেই বইখাতা তুলে রাখতাম। পড়াশোনা বন্ধ। শুধু কাজ বন্ধ রাখি তা নয়, কাজ নিয়ে কোনওরকম কথা, আলোচনা পর্যন্ত করি না।'


ছোটবেলা থেকে এই পর্যন্ত, পুজোর দিনগুলো কী করতে ভালোবাসেন ঋতব্রত? অভিনেতা বলছেন, '২০১৯ পর্যন্ত রাত জেগে ঠাকুর দেখতাম কলকাতায়। গত ২ বছর আর সেটা হয়ে ওঠেনি। এইবছর ইচ্ছা আছে কলকাতায় ঠাকুর দেখার। তবে এইবছর আমার বেশিরভাগ বন্ধুরাই চাকরি পেয়ে বাইরে চলে গিয়েছে। গত ২ বছর অন্তত বাড়ি থেকে কাজ করছিল সবাই। পুজোর কটা দিন সন্ধেবেলা আড্ডা বসত। কিন্তু এবার যেমন সংক্রমণ কমেছে, তেমনই বাইরে চলে গিয়েছে অনেকে। এই সময়টা হয়ত সব মানুষের জীবনেই আসে। আমার এখন এল। তবে পুজোয় পরিবারের সঙ্গেও সময় কাটাই আমি, ভীষণ ভাল লাগে।'


আরও পড়ুন: Rwitobroto Mukherjee Exclusive: সপ্তম শ্রেণীর সহপাঠীকে ভালোলাগা, দুর্গাপুজোয় প্রেম প্রস্তাব, অকপট ঋতব্রত


পুজোর সময় কলকাতাটা যেন একটু বেশিই ভাল লাগে অভিনেতার। ঋতব্রত বলছেন, 'পুজোর সময় শহর সেজে ওঠে আলোয়। রাস্তায় রাস্তায় ঠাকুর দেখা, মানুষের ভিড়, পাঁচটা দিন মানুষ যেন সমস্ত মনখারাপ ভুলে যায়। এই অনুভূতিটা আমার ভীষণ ভালো লাগে।'


ছোট থেকেই পুজো মানে নতুন জামা। ঋতব্রত কিন্তু এই ধারার এক্কেবারে উল্টো। অভিনেতা বলছেন, 'আমার কেনাকাটা করতে একেবারেই ভালো লাগে না। মা আর মাসি আমার জন্য প্রচুর জামাকাপড় কিনে এনেছে। তাতেই আমার সারা বছর চলে যাবে। আমার থেকে অনেক ভালো শপিং করেন এনারা। তাই আমি নিশ্চিন্ত।'