কলকাতা: ছোটবেলার পুজোর সময় পাড়ার পুজোয় সময় কাটত। অঞ্জলি, ভোগ খাওয়া সবই নিয়মমাফিক। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুজো উদযাপনের ধরণ বদলেছে। এখন বাড়িতেই বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। তবে এই বছরের পুজোটা একটু আলাদা। পুজোয় নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে তাঁর। আর নিজেকে পর্বতের কোলে দেখার জন্য উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছেন অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ (Chandreyee Ghosh)।


অভিনেত্রীর মা নাকি ঠাকুর দেখতে ভীষণ ভালোবাসেন। চান্দ্রেয়ী বলছেন, 'মা খুব ভালোবাসে ঠাকুর দেখতে। প্রতিবছর রাত জেগে কলকাতায় ঠাকুর দেখেন মা। আমি অবশ্য সঙ্গী হতে পারি না। আমার পুজোটা সাধারণত বাড়িতেই কাটে। বন্ধুদের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে আড্ডা, পছন্দ মতো খাওয়াদাওয়া। হালকা কাজও থাকে, তবে পুজোর কয়েকটা দিন আমি বাড়িতে সময় কাটাতেই ভালোবাসি।'


আরও পড়ুন: Chandreyee Ghosh Exclusive: তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে, একটা সংলাপ বলার জন্য ৪০ মিনিট ট্রেকিং করতে হয়েছিল চান্দ্রেয়ীকে


এই বছর পুজোয় মুক্তি পাবে দেবাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত, চান্দ্রেয়ীর নতুন ছবি 'মিশন এভারেস্ট'। অভিনেত্রী বলছেন, এবার পুজোর সংযোজন হয়তো হবে হল ভিজিট। মানুষ ছবিটা ভালোবাসলে প্রেক্ষাগৃহে যাব, সবার সঙ্গে আলাপ করব। আর হ্যাঁ, এবার পুজোয় মা দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে 'মিশন এভারেস্ট'-এর অপেক্ষা তো রয়েছেই।'


এই ছবিতে কাজ করার সুযোগ এসেছিল কীভাবে? চান্দ্রেয়ী বলছেন, 'তখন অনেকটা রাত হয়েছে। ঘুমোতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেবাদিত্যের ফোন। বলল, সুনীতা হাজরার এভারেন্স (Mount Everest) জয়ের কাহিনী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ছবি তৈরি হচ্ছে। উচ্ছসিত হয়ে প্রশ্ন করলাম, প্রধান চরিত্র কার? নিজের নাম শুনে এক মুহূর্তের জন্য চমকেও উঠেছিলাম। তারপর সামলে নিয়ে পরিচালককে আশ্বাস দিলাম, 'হাতে ৮-৯ মাস সময় আছে তো? নিজেকে তৈরি করে নেব।' পরিচালক সঙ্গে সঙ্গে বললেন, 'হাতে এক্কেবারে সময় নেই। বড়জোর মাস দেড়েক। তার মধ্যেই তাঁকে পর্দায় সুনীতা হয়ে উঠতে হবে।' সেইদিন সারা রাত ঘুম হল না আমার। পরের দিন সকালেই জিমের ট্রেনারকে ফোন.. 'দেড় মাসে অ্যাথলিট হয়ে উঠতে হবে। কী করব?' ট্রেনার উত্তর দিলেন, 'রোজ জিমে আসতে হবে।' শুরু হল চান্দ্রেয়ী ঘোষ (Chandrayee Ghosh) থেকে পর্দার সুনীতা হাজরা হয়ে ওঠার সফর।'