মুম্বই : প্রয়াত কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastav)। দিল্লি এইমসে অভিনেতার ১মাসেরও বেশি সময়ের যুদ্ধ শেষ হল । নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে তাঁর জীবন। খুব সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে কৌতুকের জগতের মধ্যমণি হয়ে ওঠার যাত্রাটা মসৃণ ছিল না। এই মানুষটির পারফর্ম্যান্সের মুগ্ধ-অনুরাগীরাও হয়ত সেই কঠিন পথটার কথা জানেন না। 


আসল নাম
কৌতুক অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তবের আসল নাম সত্য প্রকাশ শ্রীবাস্তব।  ১৯৬৩ সালের, ২৫ ডিসেম্বর,২৫ ডিসেম্বর কানপুরে জন্ম তাঁর। তিনি বিনোদন জগতে তিনি স্বনামধন্য নাম । তাঁর কমেডিতে শুধু মন ভাল হয় তা নয়, কৌতূকের মধ্যে থাকে বুদ্ধিমত্তার ছাপও।  ২০০৫ সালে কমেডি শো 'গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ'-এ অংশগ্রহণ করে সকলকে চমকে দেন তিনি। বিনোদন জগতে একটি জনপ্রিয় নাম হয়ে ওঠেন তাঁর অনবদ্য পারফর্ম্যান্সের মাধ্যমে।  তবে তিনি এই জগতে পা রাখার জন্য কয়েক দশক ধরে সংগ্রাম করেছেন, এই গল্প অনেকের কাছেই অজানা।


জানেন কি, রাজু শ্রীবাস্তব অনিল কাপুরের জনপ্রিয় ছবি তেজাব (1988)-এ কাজ করেছিলেন। সেই তাঁর এই দুনিয়ায়  আত্মপ্রকাশ । রাজু শ্রীবাস্তব তাঁর কাল্পনিক চরিত্রের নামেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। 'গজধর'-এই নামে বেশ জনপ্রিয়, একটি মজার চরিত্র তিনি তৈরি করেন নিজের জন্য।


 প্রথম ছবি 
রিয়েলিটি টিভি শোতে এসেই তাঁর ভাগ্য খুলে যায়। তার আগে রাজু 'ম্যায়নে প্যার কিয়া', 'বাজিগর', 'আমদানি আট্থান্নি খারচা রুপইয়া' এবং আরও কয়েকটি বলিউডি ছবিতে ছোট ছোট ভূমিকায় তিনি অভিনয় করেছিলেন। ‘আদালত’ এবং ‘শক্তিমান’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি শোতেও অভিনয় করেছেন এই কৌতুক অভিনেতা। স্ট্যান্ড-আপ কমেডি ছাড়াও, রাজু শ্রীবাস্তব অভিনয় এবং অনুকরণেও দুর্দান্ত। সকলেই এই কলায় তাঁর গুণমুগ্ধ বলা যেতে পারে।


বচ্চনই আইডল
রাজু শ্রীবাস্তব কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের প্রায় অন্ধ অনুরাগী ছিলেন। তাঁর সিনেমা দেখেই তিনি এই বিনোদন জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখতেন। লড়াই করেও এইজগতেই তাঁর কেরিয়ার গড়ার চেষ্টা জারি রেখেছিলেন। পরিশ্রম ফল দিয়েছে।  রাজু অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠ নকল করেই প্রথম সকলের নজর কেড়ে নেন।


সর্বোচ্চ সাম্মানিক প্রাপ্ত কমেডিয়ান
রাজু ইদানীং কালের সব হিন্দি স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ সাম্মানিক পান। সারা দেশে , এমনকী বিদেশেও বহু শো করেছেন রাজু। তিনি উত্তরপ্রদেশের ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উত্তরপ্রদেশে একটি ফিল্ম সিটি স্থাপনের জন্য যে সকল সদস্য উদয়াস্ত কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।