মুম্বই: প্রযোজনা সংস্থা ওয়াদিয়া মুভিটোন দাবি করেছিল, ফিয়ারলেস নাদিয়া তাদের সৃষ্টি, তাঁর চরিত্রের অনুকরণে তৈরি হয়েছে ‘রেঙ্গুন’-এর কঙ্গনা রানাওয়াতের চরিত্র। অর্থাৎ কপিরাইট লঙ্ঘিত হয়েছে। কিন্তু ‘রেঙ্গুন’ নির্মাতারা দাবি করলেন, ফিয়ারলেস নাদিয়া ছবির চরিত্র, তার কোনও কপিরাইট হয় না।


আজই আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।

ওয়াদিয়া মুভিটোনের দাবি, কঙ্গনা জুলিয়া নামে যে চরিত্রটি ‘রেঙ্গুন’-এ করছেন, তার সঙ্গে স্বাধীনতাপূর্ব ও পরবর্তী যুগে তাদের একের পর এক ছবির নায়িকা ফিয়ারলেস নাদিয়া ওরফে অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী মেরি ইভান্সের মিল রয়েছে। ইভান্স নাদিয়া নামে সিনেমা করতেন, তাঁর পরিচয় ছিল হান্টারওয়ালি। ১৯৩৫-এ মুক্তি পাওয়া ওয়াদিয়া মুভিটোনের ছবি ‘হান্টারওয়ালি’-র নাদিয়ার সঙ্গে ‘রেঙ্গুন’-এর ট্রেলারে কঙ্গনার চরিত্রের ১৯টি সাদৃশ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তাঁদের আইনজীবীদের।

সোমবার আদালত দু’পক্ষকেই অনুরোধ করে, বোঝাপড়ার মাধ্যমে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে। কিন্তু কেউ তাতে রাজি নয়। ‘রেঙ্গুন’-এর নির্মাতাদের আইনজীবী আদালতের বহু নির্দেশ তুলে বলেছেন, চরিত্রের কোনও কপিরাইট হয় না। মার্কিন আইনে হতে পারে কিন্তু ভারতে সে রকম নিয়ম নেই যেহেতু ওই চরিত্র বাস্তব নয়।

তাঁর আরও বক্তব্য, হোমি ওয়াদিয়া ও তাঁর ভাই নাদিয়াকে নিয়ে ছবিগুলির গল্প লিখতেন, পরিচালনা ও প্রযোজনা করতেন। পরে তৈরি হয় কোম্পানি, তারা ছবিগুলি নিজেদের আওতায় আনে। কিন্তু তারা যে সব চিত্রনাট্য এখনও হাতে পায়নি, তা নিজেরাই জানিয়েছে। অর্থাৎ কপিরাইট নেই তাদের কাছেই। কোনও কাগজপত্র কি রয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, ছবিগুলির গল্প লেখক ছবির নাম ইত্যাদি দিয়ে গিয়েছেন ওয়াদিয়া মুভিটোনকে?

‘রেঙ্গুন’-এর আইনজীবীদের আরও যুক্তি, ওয়াদিয়াদের কোনও ছবিতেই ফিয়ারলেস নাদিয়া নামে কোনও চরিত্র ছিল না। ওই অভিনেত্রীকে ফিয়ারলেস বলা হত যেহেতু নানা ধরনের স্টান্ট করতেন তিনি। যেমন ড্রিম গার্ল বলা হয় হেমা মালিনীকে। কিন্তু ড্রিম গার্ল কথাটির ওপর কারও কপিরাইট নেই।