কলকাতা: শ্যুটিং করছেন উত্তমকুমার (Uttam Kumar)। অবাক বিস্ময়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick)। লাইটস-ক্যামেরা-অ্যাকশন... হঠাৎ সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়লেন উত্তমকুমার। হইহই করে উঠল সবাই.. 'কী হয়েছে... লাগেনি তো...' ছুটে গেলেন রঞ্জিত মল্লিকও। তারপরেই হাসতে হাসতে উঠে পড়লেন উত্তমকুমার। সেই অভিজ্ঞতার কথাই এবিপি লাইভকে (ABP Live) দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোনালেন রঞ্জিত মল্লিক। 


তিনি ছিলেন উত্তমকুমারের বিশেষ ভক্ত। শ্যুটিং ফ্লোরে অনেক কিছুই শিখেছেন মহানায়কের হাত ধরে। সেই স্মৃতি রোমন্থন করেই রঞ্জিত মল্লিক এবিপি লাইভকে বলছিলেন, 'উত্তমকুমার যখন শ্যুটিং করতেন, আমরা বসে বসে দেখতাম। কত কী শেখার আছে ওঁর থেকে। একটা ছবির কথা মনে পড়ে খুব। সম্ভবত নাম ছিল 'শ্রীকান্তের উইল'। একটা শট ছিল, উত্তমকুমার সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়বেন। গোটা ফ্লোর স্ত্রস্ত.. উত্তমকুমার গড়িয়ে পড়বেন। শট রেডি হল। সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে উত্তমকুমার হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লেন, মাথা ঘুরছে। তারপরেই হুড়মুড় করে গড়িয়ে পড়ে গেলেন সিঁড়ি থেকে। এক্কেবারে নীচে। ছুটে এল সবাই। কী হয়েছে.. লাগেনি তো? 'শট ওকে?'  বলে হেসে উঠে দাঁড়ালেন উত্তম কুমার।'


রঞ্জিত মল্লিক আরও বলেন, 'সবাই চলে গেলে আমি গেলাম উত্তমকুমারের কাছে। অবাক। বললাম, এই শটটা দিলেন কী করে? উনি কিছুতেই বলতে চান না। শেষে বললেন, 'যে জায়গাটায় পড়তে হবে, তার ঠিক আগে হাঁটুকে শক্ত রাখতে হবে। শক্ত হাঁটু হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে শরীরের ব্যালেন্স চলে যায়। আর পড়ার আগে দেখে নিতে হবে কোথায়, কীভাবে পড়তে হবে। আশেপাশে কী আছে। নাহলে মাথায় চোট লেগে যেতে পারে।' রঞ্জিত মল্লিক আরও বলছেন, 'ওঁর থেকেই পরে শিখেছিলাম, কীভাবে হোঁচট খেতে হয়। এই ছোট ছোট বিষয়গুলোও যে কী বড় শিক্ষা তা ওঁকে না দেখলে বোঝা যায় না।'


'মৌচাক'-এর স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে রঞ্জিত মল্লিক বলছিলেন, 'কেবল ক্যামেরার সামনে নয়, ক্যামেরার বাইরেও উনি আমার দাদার মতোই ছিলেন। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমায় কতকিছু শেখাতেন।'


আরও পড়ুন: Mimi-Shakib: চিত্রনাট্য নয়, এই গানটির জন্য়ই প্রথম বাংলাদেশের ছবি করতে রাজি হয়েছিলেন মিমি!


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।