কলকাতা: ধারাবাহিক থেকে শুরু করে বড়পর্দা, একের পর এক কাজ নিয়ে ব্যস্ত এই অভিনেতা। দুই পর্দাতেই সমানতালে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। আপাতত তিনি 'গুড্ডি' ধারাবাহিকের অনুজ। পুলিশ অফিসার। অন্যদিকে পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি 'সীমান্ত' (Simanto)। সেই ছবিতে আইবি-র (IB) পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu)। ছবি মুক্তির আগে এবিপি লাইভের (ABP Live)-এর সঙ্গে কথা বললেন অভিনেতা। 


পর্দায় পুলিশ অফিসার হয়ে উঠতে কি রণজয়কে কসরত করতে হয়েছে? অভিনেতা হেসে বললেন, 'আমার লুকের জন্য আমার পুলিশ অফিসার সাজতে খুব একটা খাটতে হয় না। বরং আমায় একজন ভিখারি হতে গেলেই কসরত করতে হবে, লুকে বিশ্বাসযোগ্য বদল আনতে হবে। আমি পুলিশ অফিসারের লুকে হয়তো দর্শকদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠি।'


আরও পড়ুন: Safalya Debnath: প্রিয় জিৎ-শ্রাবন্তী, বড় হয়ে অভিনেতা নয়, স্বামী বিবেকানন্দের মতো মানুষ হতে চায় পর্দার 'বিলে'


'সীমান্ত'-তে অভিনয় করতে গিয়ে আইবি অফিসের অনেক খুঁটিনাটি জানতে হয়েছে তাঁকে। রণজয় বলছেন, 'আমি এই চরিত্রটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছিলাম। পরিচালককে জানিয়েছিলাম, আমি কোনও নায়কোচিত অভিনয় করব না। গোটা ছবিতে আমি মেক আপ করিনি। বরং রোদে পুড়তাম ইচ্ছা করে। অনেক শট আমি দিয়েছি বাড়িতে ব্যবহার করা জামা পরে। কারণ আমি চেয়েছিলাম, চরিত্রটা বাস্তবকে ছুঁয়ে থাকুক। আমার চরিত্রটা কোনও নিয়ম মেনে কেসের সমাধান করে না। খুব কঠিন কঠোর। কিছু অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম তারপরেই চরিত্রটাকে প্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।'


গোটা কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? রণজয় বলছেন, 'এই ছবিটা এমন কিছু মানুষের গল্প করে যাঁরা দেশকে ভালোবেসে কাজটা করে। ছবিতে অভিনয় করে মনে হয়, নতুন কিছু করেছি। চিরাচরিত ধারণা থেকে বেরিয়ে কাজটা করে মনে হয়, দর্শকদের ভালো লাগবে। ছবির ৪০ শতাংশ সংলাপ ছিল ইংরাজিতে। চরিত্রটাকে ফুটিতে তোলার সময় আমায় মাথায় 'আর্টিকেল ১৫'-এর আয়ুষ্মান খুরানা (Ayushman Khurrana) ছিলেন। যিনি ছবিতে তথাকথিত হিরো নন কিন্তু কেন্দ্রিয় চরিত্র, অভিনয়ের প্রচুর সুযোগ। আর কাজের অভিজ্ঞতা বলতে, বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে ভালোই লেগেছে। উত্তর কলকাতার গলিতে শ্যুটিং, ক্যামেরা হাতে দৌড়গুলো মনে থাকবে।'


বড়পর্দা আর ছোটপর্দাতে একাধিক চরিত্রে অভিনয়, রণজয়ের এখনও কেমন চরিত্রে কাজ করার আকাঙ্খা রয়ে গিয়েছে? রণজয় বলছেন, 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' এর নওয়াজ.. বরফির রণবীর.. বাজিগরের শাহরুখ খান, পদ্মাবতের শাহিদ কপূর... এমন কত কী। যে চরিত্রে সীমিত সুযোগের মধ্যেও অভিনয়টা ফুটিয়ে তুলতে হবে। যে চরিত্র আমায় নিজেকে নিজের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য করবে।'