অতসী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar News) দিকে দিকে প্রতিবাদের ঝড়। বারবার রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে একাধিক শিল্পীরা। আজ, রবিবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন টেলি আর্টিস্টরা (Tele Artists)। ইন্দ্রপুরী স্টুডিও থেকে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ছোটপর্দার শিল্পীরা (Television Industry)। দেশপ্রিয় পার্কের উদ্দেশে শুরু হয় মিছিল।চলে স্লোগানিং। যোগ দিলেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, তুলিকা বসু, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রুকমা রায়, শ্রুতি দাস, মানসী সিন্হা প্রমুখ। 


ছোটপর্দার ডাকে প্রতিবাদে পথে নামলেন টেলিভিশন শিল্পীরা


এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনায়েড। এটুকুই বলার। সহ্য সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে, সেই কারণে আজ ফের আমরা পথে নেমেছি। কিন্তু আজ আমাদের প্ল্যাকার্ডের বাইরে কোনও বক্তব্য নেই। 'মাছ ঢাকতে খুঁজছ শাক, তিলোত্তমা বিচার পাক'।' রাতে মহিলাদের কাজের পরিমাণ কমানোর প্রসঙ্গে রাহুলের বক্তব্য, 'এইটা সবথেকে লজ্জাজনক। সাংবাদিকদের, অভিনেত্রীদের, আমার সহকর্মীদের কাজ সেরে রাত ২-৩টেয় ফিরতে হয়, তাহলে কি সকলে কাজ করা ছেড়ে দেবে?'


অভিনেত্রী তুলিকা বসু বলছেন, 'সময় লাগবে, কিন্তু বিচার হবে। আমরা মানুষ, মহিলা পুরুষ ভেদাভেদ এখনের সমাজে নেই। আমরা পিছিয়ে যেতে চাইছি না, এগোতে চাই। কাজ সবসময় করব, যখন দরকার পড়বে।' অঞ্জনা বসুর পরিষ্কার দাবি, 'আমরা বিচার চাই। আবারও পথে নেমেছি। আমাদের ধৈর্য্যের শেষ নেই। আমরা গোটা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি, শিল্পী কলাকুশলীরা আবারও রাস্তায় নেমেছি। শুধুমাত্র বিচারের জন্য।' 


কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, 'সিবিআই তদন্ত করছে। আমার এখনও পর্যন্ত বিশ্বাস আছে ন্যায় বিচার আছে। যদি তা না হয়, কিছু সাধারণ মানুষ, যাঁরা কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছি, প্রত্যেকের বিশ্বাস হারাবে।' রুকমা রায় বলছেন, 'রাত্রিবেলায় কাজ করার অধিকার যেমন ছেলেদের তেমন মেয়েদেরও। আমরা বহু রাত কাজ করেছি। এবং আগামী দিনেও করতে হবে।' জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, 'জাস্টিস তো পাবই। সেটা যেন বিলম্বিত না হয়।'


 



আরও পড়ুন: Parimal Dey : 'সরকারের সিদ্ধান্ত অনেকখানি দায়ী', আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে 'বঙ্গরত্ন' সম্মান ফেরাচ্ছেন সাহিত্যিক পরিমল দে


অন্যদিকের আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, পরপর পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান। রাজ্য সরকারের অনুদানে 'না' হুগলির আরও একটি পুজো কমিটির। এবার পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান কোন্নগরের মাস্টারপাড়া দুর্গোৎসব কমিটির। পুজো অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত লালগোলার মহিলা পুজো কমিটিরও। কলকাতা থেকে জেলা, আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে পরপর রাজ্য সরকারের পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান। অনুদান চাই না, বিচার চাই স্লোগান বারাসাতের সরোজিনী পল্লি উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের। রাজ্য সরকারের পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান করল জয়নগরের সৃজনী সঙ্ঘও। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।