নয়াদিল্লি: ফের একবার চিনা মিথ্যাচার প্রমাণ করল ভারত। সূত্রের দাবি, সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের রেজাং-লা রিজলাইন অঞ্চল দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পিএলএ। সেই সময় চিনা বাহিনীর হাতে ছিল রড, মুগুরের মতো অস্ত্র। ছিল বর্শা জাতীয় ধারালো জিনিস। ওইসব হাতে নিয়ে তারা ভারতীয় পোস্টের দিকে এগনোর চেষ্টা চালাচ্ছিল।


প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সংঘাত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং মৃত্যু পর্যন্ত গড়িয়েছে। এবার সেখানে গুলিও চালাল চিনা ফৌজ। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সোমবার রাত থেকেই প্ররোচনা দিতে শুরু করে চিনা ফৌজ।


সেনা সূত্রে খবর, ভারতের দখলে থাকা একটি পাহাড়ের চূড়া দখলের চেষ্টা করে তারা। চিনা ফৌজের ফন্দি বুঝে তাদের বাধা দেয় চূড়ায় মোতায়েন ভারতীয় সেনা। তখন পিছু হঠার সময় শূন্যে ১০-১৫ রাউন্ড গুলি চালায় চিনের বাহিনী।


সূত্রের দাবি, পূর্ব লাদাখে রেজাং-লা রিজলাইন অঞ্চলে মুখপারিতে অবস্থিত ভারতীয় পোস্টের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টায় ছিল চিনা সেনা। তাদের লক্ষ্য় ছিল, মুখপারি শৃঙ্গ ও রেজাং-লা এলাকা থেকে ভারতীয় বাহিনীকে সরিয়ে ওই জায়গাগুলি দখল করা।

সূত্রের দাবি, পিএলএ-র প্রায় জনা ৫০-৬০ জন জওয়ান লাঠি, ছোরা নিয়ে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় সেনা ছাউনির দিকে এগনোর চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটে সন্ধে ৬টা নাগাদ। কিন্তু, চিনাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিহত করে ভারতীয় বাহিনী। যার জেরে, ফিরে যেতে বাধ্য হয় চিনা সেনা।


এর আগে, গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ ভারতীয় জওয়ান। উল্লেখ্য সেই সময়ে কাঁটাতারে মোড়া লাঠি, পেরেক লাগানো কাঠের তক্তা, লোহার রড দিয়ে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়েছিল চিনা সেনা।


ভারত ও চিনের মধ্যে থাকা রুলস অফ এনগেজমেন্ট অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পাহারার সময়ে হাতে অস্ত্র রাখা গেলেও দু’কিলোমিটার পর্যন্ত তা ব্যবহার করা যায় না। এমনকী গোলা গুলিও চালানো যায় না।


এই চুক্তি লঙ্ঘন করে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার ওপর হামলা চালায় চিনা ফৌজ। মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনার এক কমান্ডার এবং ১৯ জওয়ানের। আর ৪৫ বছর পর, সোমবার রাতে সীমান্তে গুলিও চালাল চিনা বাহিনী।