গত ৮ সেপ্টম্বর সুশান্ত সিংহ রাজপুত মৃত্যু তদন্তে মাদক যোগে গ্রেফতার করা হয় বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। তারপর থেকে রিয়া আছেন বাইকুল্লা জেলেই। এরপর মুম্বইয়ের দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেন রিয়া চক্রবর্তী। সেখানেও জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায় তাঁর। আদালতে তিনি দাবি করেন, তিনি কোনও অপরাধ করেননি। মিথ্যে মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।সেই সঙ্গে তিনি এই দাবিও করেন, এনসিবি হেফাজতে জোর করেই তাঁকে কবুলনামায় সই করানো হয়েছে। স্বেচ্ছায় তিনি কোনও স্বীকারোক্তি দেননি।
কিন্তু এনসিবির আইনজীবী দাবি করেন, রিয়া ড্রাগ-চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি নিজে নেওয়ার জন্য নয়, অন্যকে দেওয়ার জন্য ড্রাগ কিনতেন। তাই এনডিপিএস আইনের ২৭-এ ধারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিনি আইনের হাত থেকে পালাতে পারেন না।
তাছাড়া এনসিবির দাবি, রিয়া জেলের বাইরে বের হলে, ড্রাগ চক্রের অন্যান্য সক্রিয় সদস্যদের প্রভাবিত করতে পারেন। তাঁদের সতর্ক করতে পারেন। অর্থ ও ক্ষমতাবলে তাঁদের উপর প্রভাব খাটাতে পারেন। তাই তথ্যপ্রমান নষ্ট করার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই এই মুহূর্তে রিয়াকে জামিন দেওয়া ঠিক হবে না বলে আদালতে জানায় এনসিবি। এনসিবি-র তরফে বলা হয়, সুশান্ত যে ড্রাগ নিতেন তা জেনেও রিয়া বারণ করেননি। উপরন্তু নিজেই এর অংশ হয়ে পড়েছিলেন। ড্রাগের জন্য রিয়া তাঁর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন, যা আইনি অপরাধ।
এছাড়া সুশান্ত মত্যুরহস্য তদন্ত করছে আরও দুটি তদন্তকারী দল - সিবিআই ও ইডি। অভিনেতার মৃত্যুর আত্মহত্যা নাকি খুন, আত্মহত্যা হয়ে থাকলে, তাতে রিয়ার কোনও প্ররোচনা আছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও আলোকপাত করতে পারেনি সিবিআই। তাছাড়া সুশান্তের অ্যাকাউন্টের ১৫ কোটি টাকা রিয়া হাতিয়ে নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ সুশান্তের বাবা করেছিলেন, তারও সদুত্তর পায়নি ইডি। এই মুহূর্তে ড্রাগ-যোগেই তাই জেলবন্দি রিয়া।
এখন ২২ সেপ্টেম্বর অবধি জেল হেফাজতেই থাকতে হবে রিয়া ও তাঁর ভাই সৌভিককে। তাঁরা অবশ্য বম্বে হাইকোর্টেও যেতে পারেন জামিনের আবেদন নিয়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এনিসিবি সূত্রে খবর, মাদক-যোগে ধীরে ধীরে উঠে আসছে বলিউডের অনেক উজ্জ্বল নাম। গতকাল সারা আলি খানের নামও এই ঘটনায় উঠে আসে।