মুম্বই: রিয়া চক্রবর্তী কি নিয়মিত সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে মাদক সেবন করাতেন? মাদকের জোগানও দিতেন?— প্রয়াত অভিনেতা সুশান্তের বান্ধবী রিয়ার হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাটের কথোপকথন প্রকাশ্যে আসার পরে এই প্রশ্ন জোরালো ভাবে উঠতে শুরু করেছে।

গত ১৪ জুন বান্দ্রার একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার পরেই অভিনেতার বাবা খুন এবং টাকা তছরুপের অভিযোগ তোলেন রিয়ার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবীর যে হোয়াটস্অ্যাপে কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে তাতে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ-র মতো নিষিদ্ধ মাদকের উল্লেখ রয়েছে।

ড্রাগ ডিলার গৌরব আরিয়ার সঙ্গে হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাটের একটি অংশে রিয়া লিখেছেন, ‘‘আমি কড়া ড্রাগ সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। এক বার এমডিএমএ দিয়ে দেখুন। আপনার কাছে কি এমডি আছে?’’ রিয়ার হোয়াটস্অ্যাপ কনট্যাক্ট লিস্টে ‘মিরান্ডা সুশী’ নামে এক জনের নাম সেভ রয়েছে। রিয়াকে হোয়াটস্অ্যাপে মিরান্ডি লিখেছেন, ‘‘স্টাফ ইজ অলমোস্ট ওভার।’’ তবে এর চেয়েও চাঞ্চল্যকর কথোপকথন সামনে এসেছে। তা হল রিয়া এবং তাঁর বন্ধু জয়া সাহার চ্যাট। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর রিয়াকে জয়ার টেক্সট, ‘‘চা বা জলের মধ্যে চার ফোঁটা মেশাও… তার পরে ওকে দাও। ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’এই মেসেজ পাওয়ার পরেই রিয়া ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন জয়াকে। পাল্টা জয়ার উত্তর, ‘‘নো প্রবলেম, ব্রো। হোপ ইট হেল্পস।’’
‘কাই পো চে’র অভিনেতার বাবা কেকে সিংহ প্রথম থেকেই ছেলের মৃত্যুর জন্য রিয়ার দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এমনকি, এফআইআরে সুশান্তের পরিবার ড্রাগ ওয়ারডোজের উল্লেখ করেছিল। প্রথমে পরিজন ভেবেছিলেন, চিকিৎসকই হয়তো সুশান্তকে কোনও ড্রাগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রয়াত অভিনেতার বাবার আইনজীবী বিকাশ সিংহ বলেছেন, ‘‘সুশান্তের অজান্তেই এমন কিছু তাঁকে (অভিনেতা)দেওয়া হয়েছিল, যেটা সুশান্তকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।’’ কুপার হাসপাতালে হওয়া অভিনেতার অটোপ্‌সি রিপোর্টের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী। তাঁর আরও প্রশ্ন, সার্চ ইঞ্জিন অনুযায়ী, অটোপ্‌সি করার ক্ষেত্রে কুপার হাসপাতালের ‘একে বারেই সুনাম’ নেই। তা সত্ত্বেও সেখানই কেন তা করানো হল।