মর্মান্তিক। আবারও ধাক্কা সঙ্গীত জগতে। জুবিন গর্গের পর আরও এক জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু। আকস্মি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন গায়ক-অভিনেতা ঋষভ তন্ডন। অনুরাগীদের কাছে তিনি ‘ফকির’ নামেও পরিচিত ছিলেন। শিল্পীর আকস্মিক প্রয়াণে শোকের ছায়া অনুরাগীমহলে। বাকরুদ্ধ তাঁর পরিবারও। পেজ-থ্রি সাংবাদিক, ভাইরাল ভায়ানি ইনস্টাগ্রামে ঋষভের মৃত্যুর খবরটি শেয়ার করেন। মুম্বইবাসী ঋষভ দীপাবলিতে দিল্লিতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জলজ্যান্ত সুস্থ মানুষটা এভাবে চলে গেল! মানতে পারছেন না কেউই।
ঋষভের গলায় "ইয়ে আশিকী," "ইশক ফকিরানা," এবং "চাঁদ তু" সঙ্গীতপ্রেমীরা মনে রাখবেন। তাঁর গানের গলা ও অভিনয় দুইই গ্রহণযোগ্যতা পায়। ভক্ত মহলে তাঁর জনপ্রিয়তা "ফকির" নামে। দক্ষ গায়ক এবং সুরকারের প্রয়াণে শোকের ছায়া অনুরাগী মহলে। ঋষভের ইনস্টাগ্রাম বায়ো খুললেই দেখা যাবে, “শিবের শক্তিতে আচ্ছন্ন একজন বিশ্বাসী... গায়ক | সুরকার | অভিনেতা।” তাঁর ঘনিষ্ঠ জনেরা জানেন কতটা আধ্যাত্মিক মনোভাব ছিল তাঁর। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কোনও ইতিহাস সম্পর্কেও এখনও জানা যায়নি।
মাত্র ৩৫ বছর বয়সে চলে গেলেন ঋষভ। তাঁর পরিবার এখনও সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। বিশ্বাস করাই কঠিন হচ্ছে, তিনি আর নেই, বলছেন বন্ধুবান্ধবরা। বর্তমানে শেষকৃত্যের জন্য আত্মীয়দের আসার জন্য অপেক্ষা করছে পরিবার। এই কঠিন সময়ে পরিবার সকলকে পাশে থাকার ও একান্তে শোক পালনের সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋষভের গান নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি,অতাতে উঠে এসেছে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও। অভিনেত্রী সারা খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রটনা ছড়িয়ে পড়ে কিছুদিন আগে। সারার সিঁদুর পরা একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই ভেবেছিলেন ঋষভের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে। পরে সারা এই গুঞ্জন অস্বীকার করেন। জানা যায় যে, বিয়ের আগে বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার শেষ একক অ্যালবাম 'ইশক ফকিরা' প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটি ২.১ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে।