কয়েকদিন আগেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল উত্তর পূর্ব ভারতে। আর এবার কেঁপে উঠল হিমাচল প্রদেশের পার্বত্য এলাকা। গভীর রাতে কম্পন অনুভূত হল পর্যটনের শহর শিমলায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভূপষ্ঠ থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে একটি কম্পন অনুভূত হয়। মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যায়। আতঙ্ক ছড়ায় পাহাড়ে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ২.৮ ।

Continues below advertisement

তখন গভীর রাত। ঘড়ি বলছে ১২টা ৫৫ মিনিট। রাতের অন্ধকারে শিমলা শহর তখন শান্ত। বেশিরভাগই গভীর ঘুমে। সেই সময়ই কেঁপে ওঠে মাটি।  ভয়ে সিঁটিয়ে যায় মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌভাগ্যবশত ভূমিকম্পের তীব্রতা খুব বেশি ছিল না। তাই বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি। এ বছর বর্ষায় একের পর এক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান, ধস, একের পর এক বিপর্যয়ে এমনিই ত্রস্ত হিমাচলের মানুষ। তার উপর এই ভূমিকম্পের ধাক্কা। অনেকেরই আশঙ্কা, এরপর বড় কোনও কম্পন আসবে না তো? 

লেহ-তেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে

হিমাচলের সঙ্গে সঙ্গে লেহ-তেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর তীব্রতা শিমলার থেকে সামান্য বেশি ছিল। লেহ্তে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৭ । এই এলাকাগুলিতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। তাই ভূমিকম্পের মৃদু কম্পন বুঝেই হুড়মুড়িয়ে  ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। যদিও, স্বস্তির বিষয় হল কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

Continues below advertisement

আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানেও ভূমিকম্প

জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের আশেপাশের দেশগুলিতেও এদিন ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। গভীর রাতে তিব্বতে ৪.০, পাকিস্তানে ৪.৬ এবং আফগানিস্তানে ৪.৩ তীব্রতা নিয়ে ভূমিকম্প হয়। প্রশাসন জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সকলকে গুজব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ কিছুদিন আগেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ঘটে গিয়েছে কাবুলিওয়ালার দেশে।  তারপর একাধিক আফটার  শকও হয়। এবারের ভূমিকম্পের তীব্রতা অত বেশি ছিল না, তবু সকলকে  সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।   

ফিলিপিন্সে ভয়াবহ ভূমিকম্প

এই মাসের শুরুতেই ফিলিপিন্সে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৯। মৃতের সংখ্যা ছিল ৭০ এর আশেপাশে। আহতের সংখ্যা ছিল শতাধিক।  মধ্য ফিলিপিন্সে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল সেবু প্রদেশের বোগো। শতাব্দী প্রাচীন চার্চ-সহ একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে ।