কলকাতা: দ্বিতীয় লকডাউনের পরেই ছবির শ্যুটিং। পরিচালকের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকার ফলে অভিনেতার কাছে শ্যুটিং বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। নতুন নায়িকার সঙ্গে কাজ হলেও জমে উঠেছিল বন্ধুত্ব। সেই রসায়নই যেন ধরা পড়ল ক্যামেরায়। মুক্তি পেল  সৌম্যজিত আদক পরিচালিত, ঋষভ বসু (Rishav Basu) ও ঐশ্বর্য্য সেন (Aiswariya Sen) অভিনীত ছবি 'একলা ঘর'-এর ট্রেলার। চলতি মাসেই মোজোপ্লেক্স (Mojoplex) ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নতুন এই ছবি 'একলা ঘর'। 


কেমন ছিল এই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা? ঋষভ বলছেন, 'ঐশ্বর্য্যর বিপরীতে এটা আমার প্রথম কাজ। ও খুব ভাল অভিনেত্রী, এখন প্রচুর কাজও করছে। খুব মজা করেই শ্যুট করেছি আমরা। আর পরিচালক সৌম্যজিতের সঙ্গে এর আগেও একটা কাজ করেছি আমি। 'অল্প হলেও সত্যি'। ও শুধু পরিচালক নয়, আমার বন্ধুও। ফলে ওর সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করি সবসময়। ঝগড়াও। ভাল-খারাপ আলোচনা করে নিই। অভিনেতার ওপর কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় না, সবসময় আলোচনা করে নিতে ভালবাসে।'


আরও এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়েছে এই ছবির শ্য়ুটিংয়ে। ঋষভ বলছেন, ' এই ছবির গল্পটা একেবারেই ৯০-এর দশকের। যে মানুষগুলোকে আমরা ছোটবেলায় দেখে বড় হয়েছি, সেই সময়ের মানুষ হয়ে অভিনয় করা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয়ত, এই ছবিতে একটি দৃশ্যের জন্য আমার একটি বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের সংস্থায় শ্যুটিং করতে গিয়েছিলাম। এখানে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের বিভিন্ন কাজ শেখানো হয় যাতে তারা সমাজের বিভিন্নরকম কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে নিজেদের ক্ষমতা মতো। এইরকম কিছু বাচ্চাদের সঙ্গে একদিন শ্যুটিং করেছি। ওই দিনটা শুরু এই ছবিটা নয়, আমার সারা জীবনের জন্য একটা অমূল্য অভিজ্ঞতা।'


আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty: 'পান্তাভাতের কুণ্ডু' দীপান্বিতার প্রত্যাবর্তন, চিনতে পারলেন 'মহাগুরু' মিঠুন?


ছবির নাম 'একলা ঘর'। ব্যক্তি ঋষভ যদি একলা ঘর পান তাহলে কীভাবে সময় কাটান? একটু হেসে ঋষভ বললেন, 'আমি ওয়েব সিরিস দেখি, বই পড়ি, নিজের সঙ্গে সময় কাটাই। আর যেহেতু আমি একাই থাকি, তাই জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব কাজই আমায় করতে হয়। তবে আমার একলা ঘরে একেবারে একার নয়। আমার দুই পোষ্য আছে। দুটি বেড়াল। তারা আমায় সঙ্গ দেয়।