মুম্বই: 'বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলেন ঋষি আর ইরফান', দুই বলিউড তারকার মৃত্যুতে আক্ষেপের সুর প্রসূন জোশীর গলায়। বর্তমানে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেসন বা সেন্সর বোর্ডের প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। দুই মহারথীর প্রয়াণ 'বড়ই বেদনাদায়ক' বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
গত ২৯ এপ্রিল মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই শেষ হয়ে গিয়েছিল হিন্দি সিনেমার একটি অধ্যায়। মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানি হাসপাতালে নিউরোএনডোকট্রিন টিউমারের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গিয়েছেন বলিউডের ব্যতিক্রমী খান। বুধবার সকালে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই দুঃসংবাদ, প্রয়াত ইরফান খান। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হলিউড, বলিউড থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ইরফানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল প্রসূনের। তিনি বলেন, 'কঠিন রোগের সঙ্গে ইরফানের লড়াই কিছু কম কষ্টকর ছিল না। পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন তিনি। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছেন ইরফান। বাঁচার অদম্য ইচ্ছা ছিল বলেই দূরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে এতদিন লড়াই করতে পেরেছেন তিনি। সুস্থ হয়ে ফিরে আসবার চেষ্টাও করেছিলেন রুপোলি পর্দায়। তাঁর এই লড়াই অনুপ্রেরণা যোগায়।'
অন্যদিকে পরদিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল টিনসেল টাউনের আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র পতনের খবর আসে। প্রয়াত হন রোম্যান্টিক ছবির 'চকলেট বয়' ঋষি কপূর। ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। পরপর দুই মৃত্যুতে বলিউডের তারকাদের প্রায় বাকরোধ হয়ে যায়। প্রসূন বলেন, 'আমি অনেকদিন ধরে ঋষি কপূর ও তাঁর পুরো পরিবারকেই চিনি। খুব প্রাণোচ্ছল মানুষ ছিলেন তিনি। যেখানেই যেতেন সেই জায়গাকে মাতিয়ে রাখতেন। ইরফানের চলে যাওয়া অত্যন্ত অল্পবয়সে তা ঠিক কিন্তু বর্তমান সময়ের অনুপাতে খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন ঋষি।'
সম্প্রতি এ আর রহমানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে 'হাম হার নেহি মানেঙ্গে' গানের মধ্যে দিয়ে করোনা যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রসূন। দু’বার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া গীতিকার, ৪৮ বছরের প্রসূন জোশীর জন্ম উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায়। কাজ করেছেন ‘তারে জমিন পর’, ‘ফনা’, ‘রং দে বসন্তী’, ‘গজনি’, ‘চিটাগাং’, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’, ‘নীরজা’র মতো ছবিতে। ২০১৫ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী খেতাব।