মুম্বই:  চাঁচাছোলা কথা বলা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করার জন্যে একাধিকবার যেমন সমালোচিত হয়েছেন, তেমন প্রশংসাও পেয়েছেন ঋষি কপূর। তবে এবার বোধহয় একটু বেশিই চটেছেন কপূর খানদানের এই সদস্য। আর ঋষির এবার রাগের নিশানায় কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গাঁধী।


রাহুল গাঁধী গতকাল বার্কলেতে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, সারা ভারতে সর্বক্ষেত্রে পরিবারতন্ত্রের দাপট। রাজনীতি থেকে ব্যবসা, এমনকি বলিউড সবজায়গাতেই পরিবারতন্ত্রের দাপট রয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, অখিলেশ যাদব থেকে স্ট্যালিন (ডিএমকে), এমনকি বলিউডের অভিষেক বচ্চনও পরিবারতন্ত্রের ফল। তারপর তিনি বলেন ব্যবসায় অম্বানিরাও সেই একই ধ্বজা বয়ে নিয়ে চলেছেন। ইনফোসিসও ব্যতিক্রম নয়।

পরিবারতন্ত্র প্রসঙ্গে বলিউডকে জড়ানোয় চটেছেন ঋষি। একাধিক টুইট করে প্রবীণ এই অভিনেতা বলেন, কপূর খানদান বলিউডে পরিবারতন্ত্রের অন্যতম সফল উদাহরণ। কারণ, এই খানদানের প্রত্যেক সদস্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিজেদের কৃতিত্বে মানুষের সম্মান অর্জন করেছেন। এরজন্যে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিভাই কথা বলেছে। তারপর তিনি বলেন ভারতীয় সিনেমার বয়স ১০৬ বছর, এবং তারমধ্যে ৯০ বছর ধরে কপূর খানদানের সদস্যরা এখানে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। তবে সবটাই নিজেদের গুনে। কাজেই শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্রকে সামনে রেখে কোনও মানুষ নিজেকে সফল বলতে পারেন না। তাঁকে কাজ করে সাফল্য অর্জন করতে হয়, যেমনটা কপূর খানদানের সদস্যরা করেছেন। কাজেই পরিবারতন্ত্রকে সামনে রেখে সকলকে বদনাম করার প্রবণতা সঠিক নয়। মানুষের সম্মান গুণ্ডাগিরি বা জোবরদস্তি করে পাওয়া যায় না, যোগত্যা দিয়ে অর্জন করতে হয়।



প্রসঙ্গত, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে রাহুলকে একটি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সেখানে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কংগ্রেস কি পরিবারতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত? এর উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই সেই নিয়মে চলছে। এরজন্যে তাঁকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার কোনও কারণ নেই। তারপর তিনি বলেন পরিবারতন্ত্রের ফসল হলেও, দেখা উচিত সেই ব্যক্তি যোগ্য এবং যথেষ্ট সংবেদনশীল কিনা কাজটা করার জন্যে। তারপরই ঋষির এই টুইট আক্রমণ।

এদিকে গতকাল পরিবারতন্ত্র নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের পরই তাঁকে পাল্টা বিঁধতে ছাড়েনি ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিনিধিরা। বিজেপির দাবি, তিনি পরিবারতন্ত্রের একজন অসফল ফসল, এবং নিজের অসফল রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি কথা বলেছেন।