কলকাতা: এক বছরের মধ্যে দুটি অস্ত্রোপচার কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা, ওজন বেড়ে যাওয়া.. নাহ, যাত্রাটা নেহাৎ সহজ নয় যে কোনও মানুষের জন্যই। আর যদি তিনি রূপোলি পর্দার সুন্দরী নায়িকা হয়, তাহলে যাত্রাটা একটু কঠিন হয়ে যায় বইকি! প্রথমটা মুষড়ে পড়েছিলেন নায়িকা। হার মানেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন নিজের কঠিন সময়ের কথা। ভালোবাসা পেয়েছিলেন, ভরসা পেয়েছিলেন। তবু বছর ঘুরে তাঁর কাছে দুঃস্বপ্নের মতোই ফিরে আসে সেই দিনগুলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো ছবি শেয়ার করে নিজের কঠিন সময়ের কথা আরও একবার অকপটে লিখলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhori Chakraborty)।


আরও পড়ুন:'সামি সামি' গানে জমজমাট নাচ, নেট দুনিয়ায় ঝড় তুললেন অপরাজিতা আঢ্য


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি পুরনো ছবি পোস্ট করেন ঋতাভরী। দুটি ছবিতেই দেখা যায়, তিনি হাসপাতালের বিছানায় বসে ও শুয়ে আছে। অভিনেত্রী লিখছেন, 'এই ছবিগুলো গত বছরের। কিন্তু এখনও কেউ যদি আমায় প্রশ্ন করে, কেমন আছো ঋতাভরী? আমি বুঝে উঠতে পারি না তার কী উত্তর দেব! দারুণ? সামান্য ভালো? ভালো? আমি মনে মনে এখনও বিশ্বাস করি, এক চেয়ে কঠিন সময় আমার জীবনে আর আসেনি। হ্যাঁ আমি এখন ভালো আছি। কিন্তু দীর্ঘ একটা সময় ধরে আমি ভালো ছিলাম না। এই দুটি ছবি ঠিক ৬ মাসের ব্যবধানে। প্রথম ছবিতে আমি হাসছি কারণ সেসময়ে হাসপাতালে থাকাটা আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার বিষয়টা ততটা সহজ ছিল না। প্রত্যেক সপ্তাহে চিকিৎসার জন্য আমায় অন্তত ২দিন করে হাসপাতালে যেতে হত। কিন্তু এখন একমাত্র ভালো খবর হচ্ছে, আমি ভালো আছি। হ্যাঁ মানসিক আর শারিরীকভাবে সুস্থ হতে আমার বেশ লম্বা সময় লেগেছে। তবে এখন আমি মেনে নিয়েছি ওটা আমার জীবনের একটা কঠিন সময় ছিল আর ওই সময়টাকে ফেলে আমায় এবার সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জীবন একটা দৌড়। আমি অসুস্থতা নিয়েও আমার পড়াশোনা শেষ করেছি, ছবির কাজ করেছি। কিন্তু সাফল্য কী হাসপাতালে থাকার শারিরীক কষ্ট, সম্পর্ক ভাঙার মানসিক কষ্টে প্রলেপ দিতে পারে? জীবন দৌড়ের শেষ কোথায় কেউ বলে দেবে না। কারণ প্রত্যেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবন কাটাতে ব্যস্ত। আমিও ঠিক তেমন। শারীরিক মানসিক কষ্টকে আমল না দিয়ে কাজ করে গিয়েছি। নিজের কষ্টের কথা কাউকে বলিনি। কিন্তু এটার জন্যই আমার সেরে ওটা আরও ৬ মাস পিছিয়ে গিয়েছে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি অনেকবার। এইভাবে কাজ করা আমার উচিত হয়নি। ভুল করেছি। এই ভুল আপনারা করবেন না। আমি এই লম্বা পোস্টটা লিখছি যাতে কেউ নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি বা কর্মবিরতি নিয়ে অপরাধবোধে না ভোগেন। এটা সবার প্রয়োজন। আর হ্যাঁ, শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে এটা আমার শেষ পোস্ট। খুব তাড়াতাড়ি নতুন কিছু শুরু হবে। নতুন কাজের ঘোষণা আসছে।'


">