কলকাতা: বছরের শেষ দিনে দুঃসংবাদ। করোনা আক্রান্ত দিদি চিত্রাঙ্গদা (Chitrangada Satarupa) আর মা শতরূপা সান্যাল (Satarupa Sanyal)। 'বছরের শেষ দিনে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু'জন মানুষের সঙ্গে দেখা হল না, সময় কাটাতে পারলাম না।' এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মনখারাপ উপচে পড়ল ঋতাভরী চক্রবর্তীর (Ritabhari Chakraborty) গলায়। 


শুক্রবার দুপুরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বড় পোস্ট করে শতরূপা সান্যাল লেখেন, 'নতুন বছরের শুরুতেই আমার ঘরে উৎসব হবার কথা। আমার মেয়ে চিত্রাঙ্গদার বিয়ে সম্বিতের সাথে। সব আনন্দ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও সারা। কিন্তু কোভিডের ক্রমবর্ধমান সংক্রমন আমার ঘরেও ঢুকলো। চিত্রাঙ্গদার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ। সবার মন খারাপ।



এই অবস্থায় দৃঢ়তার সঙ্গে ওরা দুজনেই জানালো, বিয়ে আপাতত স্থগিত থাক। কারণ, এই অতিমারীর অতি ক্ষিপ্রতার দিনে, বিয়ে উপলক্ষ্য করে যে মানুষের সমাগম হবে, সেখান থেকেও রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে। চিত্রাঙ্গদা পুরোপুরি সুস্থ হোক আগে। তখন দিনক্ষণ আবার ঠিক করা যাবে। শুধু তাই নয়, ওরা সোশাল মিডিয়ায় ও সর্বত্রই সকলকে সতর্ক করে দিয়েছে, যাতে , যারাই ওর কাছাকাছি এসেছিল গত কয়েকদিনে, যেন কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেয়।



আমি আমার মেয়ে ও জামাইয়ের এই দায়িত্বশীল ও সৎ ভাবনায় ওদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজকথা নয়। আজকের তরুণ প্রজন্মের স্বার্থপরতার খবরই বারবার শুনি । কিন্তু সেই প্রজন্মেরই দায়িত্বশীলতা ও সঠিক চিন্তার উজ্জ্বল প্রতিনিধি ওরা। প্রাণভরা আশির্বাদ ও অফুরান ভালোবাসা ওদের।' (অপরিবর্তিত)

 

মনখারাপের ছোঁয়া ঋতাভরীর গলাতেও। সদ্য পুদুচেরী থেকে ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন অভিনেত্রী। এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঋতাভরী বললেন, '২০২১ সালের শেষ দিনটা আমার কাছে বছরের সবচেয়ে খারাপ সময় হয়ে রইল। মা আর দিদি করোনা পজিটিভ। দুজনেই আইসোলেশানে রয়েছে। বছরের শেষ দিনটা ওদের সঙ্গে দেখা করতে পারলাম না। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুজন মানুষের থেকে আলাদা থাকতে হল ২০২১ সালের শেষ দিনটায়। তবে দুজনেরই হালকা উপসর্গ রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চলছে ওরা।'

 

করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পিছিয়ে গিয়েছে চিত্রাঙ্গদার বিয়ে। এই কথা আগেই জানিয়েছিলেন শতরূপা। ঋতাভরী বললেন, 'এখন ওদের সুস্থ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ৯ জানুয়ারীর আগে নেগেটিভ হওয়া মুশকিল। এতগুলো মানুষকে তো আর বিপদে ফেলা যায় না। তাই বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।'