দক্ষিণ ২৪ পরগণা : রাজ্যে চার দিনে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। বর্ষশেষে উৎসবের আবহে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতিতে সচেতনতা বাড়াতে ফের জেলায় জেলায় পথে নামল পুলিশ।
শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর-রাজপুরের বাজারগুলিতে মাইকে প্রচার চালায় পুলিশ। বিনা মাস্কে কেউ এলে জিনিস বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে বাসস্ট্যান্ড-অটোস্ট্যান্ডেও চলে প্রচার। কোভিড বিধি ভাঙায় গ্রেফতার করা হয় ৩০ জনকে।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মাস্ক বিলি করেন স্থানীয় পুর প্রশাসক।
ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাস জানালেন, ' ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি ব্যারাকপুর পুরসভা। নির্দেশ এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে সেফ হোম। প্রয়োজন হলে বন্ধ করা হবে বাজার।'
আরও পড়ুন :
উপসর্গহীন কোভিড রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ রাজ্যের
এছাড়া বিটি রোড এলাকায় কোভিড সচেতনতা নিয়ে প্রচার চালায় খড়দা থানার পুলিশ। একই ছবি দেখা গিয়েছে বর্ধমান শহরের একাধিক এলাকাতেও। মাইকে প্রচার করেন বর্ধমান থানার IC।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর স্টেশনে কোভিড নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালায় রেল পুলিশ।
এরই মধ্যে, তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কোভিড চিকিত্সায় নতুন নিয়মবিধি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। প্রোটোকল অনুযায়ী, দু’ ভাগে ভাগ করা হয়েছে করোনা রোগীদের। যাঁরা উপসর্গহীন তাঁদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি ব্যবহারের উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের নতুন নিয়মবিধিতে। তবে এও বলা হয়েছে, এই থেরাপি ওমিক্রন আক্রান্তের ক্ষেত্রে সেভাবে কার্যকরী নয়। উপসর্গহীনদের চিকিত্সায় মালনুপিরাভিরও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নতুন প্রোটোকলে। উপসর্গ থাকলে তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও রয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। কোন রোগীকে কোন ধরনের ওয়ার্ডে রাখা হবে তাও বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের নতুন প্রোটোকলে।