কলকাতা: সদ্য মাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। মায়ের মৃত্যুর সময়ে কলকাতাতেই ছিলেন ঋতুপর্ণা, হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রীর মা। তবে ব্যক্তিজীবনে মায়ের কতটা প্রভাব ছিল ঋতুপর্ণার ওপর? নায়িকা ঋতুপর্ণা কতটা স্নেহ আর কতটা শাসন পেতেন মায়ের কাছে? এবিপি আনন্দকে (ABP Ananda) দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শুনিয়েছিলেন খোদ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তই। 


সেই সময়ে দাবাড়ু-র প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন ঋতুপর্ণা। এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, 'আমার মা কিন্তু ভীষণ কড়া। এখনও মা আমায় ভীষণ শাসন করে। অভিমান করেন, রেগে যান, দুঃখ করেন। ফোন না করলে ভীষণ রেগে যান, বলেন, 'আমায় আর আসতে হবে না। ফোন করতে হবে না।' মায়ের সেই শাসনটা আজও রয়েছে। মা বলেছিলেন, 'ভেবো না তুমি খুব বড় হিরোইন বা সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছো! তুমি আমার কাছে এখনও আমার সেই মেয়েই রয়েছো' এই সমস্ত জিনিসগুলো আমাদের পরিবারে এখনও বজায় রয়েছে।'


ঋতুপর্ণা আরও বলেছিলেন, 'আমার মা আমার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছেন। একটা সময়ে মা আমার সঙ্গে অনেক শ্যুটিংয়েও যেতেন। অনেক সময়ে নিজেদের জীবনকেও কেউ ফিরে দেখে না সন্তানদের জন্য। আজকের দিনে বাবা-মায়েরা এইসমস্ত কথা অনেক ভাবেন। তাঁরা শুধুই বাচ্চার জন্য বাঁচেন না। তাঁরা নিজেদের জীবন নিয়েও যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু আমাদের মায়েরা অবধি, তাঁরা কিন্তু সন্তান আর সংসারের জন্য বেঁচেছেন। সংসার আর সন্তান হল মূল জায়গা। মায়েরা সবসময়েই জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়। কথায় বলে না, মায়ের পায়ে হচ্ছে পৃথিবী। মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে নেওয়া মানেই সমস্ত ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে নেওয়া।'


প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বয়োসজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ঋতুপর্ণার মা। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি, চলছিল তাঁর ডায়ালিসিসও। শেষ দিন ১৫ হাসপাতালেই ছিলেন ঋতুপর্ণার মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। মায়ের পাশেই কলকাতাতেই ছিলেন ঋতুপর্ণা। মাকে হারিয়ে শোকস্তদ্ধ অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের প্রয়াণের খবর অভিনেত্রী শেয়ার করে নিয়েছিলেন নিজেই। অভিনেত্রী কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছেন তাঁর সহকর্মীদের।  


আরও পড়ুন: Suhana-Agastya: জন্মদিনেই প্রেমের স্বীকারোক্তি? অগ্যস্তর সঙ্গে খুনসুটির ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা সুহানার


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।