তোর্ষা ভট্টাচার্য্য়, কলকাতা: কথা বলা যাবে না মানুষের মতো, নড়বে না চোখের মণি.. নেহাত সোজা নয় এই অভিনয়। কিন্ত পর্দায় এই অভিনয়ই দেখে, আপ্লুত হয়ে এখ দর্শক রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)-কে বলেছিলেন, 'আপনি এই ছবিটার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেতে পারেন'। 'বুমেরাং' মুক্তির পরে, দ্বৈত চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন রুক্মিণী। জিৎ-এর বিপরীতে যোগ্য সঙ্গতেই দর্শকদের মন ছুঁয়েছে এই ছবি। এই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুক্মিণী। একজন মানুষ, আরেকজন রোবট। ইশা আর নিশা। কেমন ছিল, রুক্মিণী থেকে রোবট হয়ে ওঠা?
ছবির প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে রুক্মিণী বলছেন, 'আমি এখনও পর্যন্ত ছবি করতে একটা নিয়ম মেনে চলি। যে কোনও চিত্রনাট্য আমি নিজে পড়ার আগে পড়েন আমার মা। মায়ের পছন্দ হলে, তবেই আমি সেই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হয়েছি। এই বিষয়টা এখনও পর্যন্ত মেনে চলি। বুমেরাংয়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। মায়ের স্ক্রিপ্টটা ভীষণ পছন্দ হয়েছিল বটে, কিন্তু বুঝতেই পারেননি এটাকে পর্দায় তুলে ধরা কীভাবে সম্ভব। এমনকি আমি যখন বাড়িতে অভিনয় করে দেখাতাম, মা কার্যত আঁতকে উঠে বলতেন, 'মাম্মা তুমি এইভাবে কথা বলবে! হাসবে! যেটুকু সম্মান ছিল তাও তো শেষ।'
তেমনটা অবশ্য হয়নি। রুক্মিণী বলছেন, হল ভিজ়িটে গেলে ছোটরা তাঁর হাত ধরে, চুল ধরে টেনে দেখতে দেখতে চাইছে। দেখতে চাইছে সে পুঁই-পুঁই বলে কি না, মুখে ওভাবে হাত দিয়ে হাসে কি না। তবে সবচেয়ে শক্ত ছিল অভিনয়ের কোন অংশটা? রুক্মিণী বলছেন, 'দ্বৈত চরিত্র অভিনয় এমনটিই বেশ চ্যালেঞ্জিং। যখন মুখ এক থাকছে, তখন কেবল অভিনয়, চরিত্রায়ণের মাধ্যমেই দুটো মানুষকে আলাদা করতে হয়। আর এখানে তো একজন মানুষ, আরেকজন রোবট। একজনের কোনওরকম আবেগ প্রকাশ করা যাবে না, এমনকি চোখ সরানোও যাবে না। এটা ভীষণ মুশকিল। নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি।'
আরও পড়ুন: Aalka Yagnik: অলকার পাশে দাঁড়াচ্ছেন শ্রেয়া,সোনু.. আদৌ কি সারে এই 'সেনসরিনিউরাল হিয়ারিং লস'?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।