কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট পোস্ট। 'রাজনীতি ছাড়লাম'। গতকাল এই পোস্টের পরেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে গিয়েছিল কটাক্ষ। প্রথমে বিজেপি নেত্রীর বাম মঞ্চে উপস্থিত থাকা এরপর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা।কার্যত রাতারাতি স্পটলাইটে রূপা ভট্টাচার্য।  আর ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন অভিনেত্রী।


যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৫০০ দিন পূর্তির মঞ্চে বিজেপি নেত্রী রুপা ভট্টাচার্য ও অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজনীতি। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়  ও শ্রীলেখা মিত্র। দিয়েছিলেন দল ছাড়ার হুমকিও। তবে এবিপি আনন্দকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন, কোনও কিছু পাওয়ার আসায় মঞ্চে আসেননি তিনি।


">


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের একটি পোস্ট করে রূপা লেখেন, 'একটি বিষয় গত ৩-৪ দিন ধরে ফিরে ফিরে আসছে যে দুবেলা সিপিআইএম কে গালাগালি না দিয়ে জল খাইনি এবং ছিপিএম এসব ইত্যাদি প্রভৃতি বলেছি।আমি কি সত্যিই এগুলো বলেছি বা করেছি?না বোধহয়। সেটা কেউ দেখাতে পারবে না। উল্টে রেড ভলেন্টিয়ারদের কাজের প্রশংসা করেছি। অন্যায় অভিযোগ দিনের পর দিন কেউ করলে এবার প্রতিবাদ করবো। আমি একজন সচেতন নাগরিক। চেষ্টা করি প্রতিবাদটাও শ্রদ্ধা নিয়েই করতে।'


পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, 'এই বক্তব্যর উদ্দেশ্য শুধু আমার নামে মিথ্যে অভিযোগের প্রতিবাদ করা। কোনো রাজনৈতিক দলে ঢোকার প্রস্তাবনা আবার ভাববেন না।'


">


গতকাল একটি পোস্ট করে রূপা লেখেন, ' রাজনীতি ছাড়লাম। অন্য কোনও দলেই যোগদান করছি না। মানুষের ভালোর জন্য ন্যায্য কথা বলব। ভালো কাজকে সমর্থন করব। খারাপের প্রতিবাদ করব।' গত বুধবারের পোস্টে রূপা সরাসরি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কথা বলেন। অভিনেত্রী সাফ জানিয়ে দেন, যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁরা জানেন, বিজেপি-র অন্দরের ‘লবিবাজি’ হয়। সেখানে মুকুল রায়-ঘনিষ্ঠদের দিলীপ ঘোষ চেনেন না! তাই তিন বছর ধরে দলের হয়ে কাজ করার পরেও বিজেপি-র অন্দরে রূপা এবং তাঁর সতীর্থরা ব্রাত্য! সম্ভবত সেই অভিমান নিয়েই দলত্যাগ করেন তিনি।