একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সানা বলেছেন, ‘আনাসকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত আমি রাতারাতি নিইনি। ওর মতো একজন পুরুষকে পাওয়ার জন্যই আমি বহু বছর ধরে প্রার্থনা করেছি। ওর যে ব্যাপারটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে সেটা হল, ও আপাদমস্তক ভদ্রলোক। ও কোনও বিষয়ে সবটা না জেনে শুধু ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনও কাজ করে না।’
সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোল সম্পর্কে সানা বলেছেন, ‘আমার স্বামী একজন ভাল মানুষ। আমার ওকে সুপুরুষ বলেই মনে হয়। অন্যদের হয়তো সেটা মনে হয় না। তাতে আমার কিছু যায়-আসে না।’
স্বামীর বিষয়ে সানা আরও জানিয়েছেন, ‘২০১৭ সালে মক্কায় আমাদের আলাপ হয়। সেই সময় আমি দেশে ফিরে আসছিলাম। ফলে অল্পই কথা হয়। এরপর ২০১৮ সালে আমি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করি। কারণ, ধর্ম প্রসঙ্গে আমার কিছু প্রশ্ন ছিল। এর এক বছরেরও বেশি সময় পরে এ বছর ফের ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। আমি ইসলামের বিষয়ে আরও অনেককিছু জানতে চাই। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খারাপ মন্তব্য করেছে। সেটা আমার খারাপ লেগেছে।’
আনাস বলেছেন, ‘আমি কোনওদিন সানার জীবনযাপনের ধরনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি। ও প্রায় ৬ মাস আগে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে হিজাব নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। লোকজনের ধারণা হয়েছিল, করোনা অতিমারী এবং কাজ না থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানা। কিন্তু ও অনেকদিন ধরেই নিজের কাজ থেকে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছিল। আমি চাইছিলাম ও কিছুটা সময় নিক। কিন্তু ও নিজের সিদ্ধান্তে স্থির ছিল। ও যখন চলচ্চিত্র জগৎ ছাড়ার কথা ঘোষণা করে, তখন আমিও হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’
আনাস আরও বলেছেন, ‘সানাকে যাতে বিয়ে করতে পারি, তার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতাম। ঈশ্বর আমার প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন। অন্য কাউকে বিয়ে করলে এতটা খুশি হতাম না। অনেকেই এখনও প্রশ্ন করছেন, আমি কেন একজন অভিনেত্রীকে বিয়ে করলাম। তারা সংকীর্ণ মানসিকতার। আমার জীবনের বিষয়ে কারও মন্তব্য করার অধিকার নেই।’