কলকাতা: বিয়ের পরে ঘুরতে যাওয়ার সময় পাননি তিনি.. মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ওয়েব সিরিজ। সেই প্রচারের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে... সেই কাজ সামলে আপাতত সন্দীপ্তা সেন (Sandipta Sen) আর সৌম্য মুখোপাধ্যায়ের (Soumya Mukherjee)-র ঠিকানা এখন পাহাড়। সোশ্যাল মিডিয়ার স্টেটাসে দেখা গেল সেই ঝলক।
সদ্য 'হইচই' (Hoichoi)-তে মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ্তার নতুন ওয়েব সিরিজ 'বোধন ২' (Bodhon 2)। সেই প্রচারের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য এর ফাঁকেই তিনি শেয়ার করে নিয়েছেন 'ডিনার ডেট'-এর টুকরো ছবি। একটি পাঁচতারা হোটেলে বসে খাবার খেতে দেখা গিয়েছিল সদ্যবিবাহিত দম্পতিকে। তবে এবার.. সন্দীপ্তার ইনস্টাগ্রাম স্টেটাসে ভেসে উঠল পাহাড়ের দিন ও রাতের সৌন্দর্য্য। চাঁদের আলোয় অপূর্ব পাহাড়ের একটি ছোট্ট ভিডিও শেয়ার করে নিয়েছেন সন্দীপ্তা। কখনও আবার পাহাড়ি বনের মধ্যে আগুনের আঁচে শান্তির ছবি শেয়ার করে সন্দীপ্তা। অভিনেত্রী কোথায় গিয়েছেন তার হদিশ অবশ্য তিনি দিলেন না। কেবল স্টেটাসে ট্যাগ করে দিলেন সৌম্য মুখোপাধ্যায়কে। যা দেখে অনুরাগীদের ধারণা.. বিয়ের পরে অবশেষে ছুটি পেয়ে মধুচন্দ্রিমা কাটাচ্ছেন সন্দীপ্তা-সৌম্য।
বিয়ের দিন একটি গোলাপি রঙের ওপর হালকা কাজের বেনারসি পরেছিলেন সন্দীপ্তা। আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, হালকা অথচ অন্যধরণের সাজ সাজতে চান তিনি। আর তাই, চিরাচরিত লাল না বেছে সন্দীপ্তা বেছে নিয়েছিলেন গোলাপি বেনারসি। এখন বিয়েতে প্যাস্টেল শেড পরার চল হয়েছে। মূলত এই প্রচলন বলিউড থেকে এসেছে। নিজের বাগদানেও প্যাস্টেল শেডের লেহঙ্গায় সেজেছিলেন সন্দীপ্তা। আর তাই অনেকে মনে করেছিলেন বিয়ের বেনারসিতেও থাকবে সেই প্যাস্টেল শেডই। তবে সন্দীপ্তার এদিনের গোলাপি বেনারসি ছিল নজরকাড়া। তাঁর মাথায় রয়েছে শোলার মুকুট, সেই সঙ্গে সাবেকি টায়রা বেশ আভিজাত্য এনেছে তাঁর লুকে। গায়ে হালকা সোনার গয়না আর মুখে সেই মিষ্টি হাসি।
সৌম্য মুখোপাধ্যায় বিয়ের জন্য কনের বেনারসির সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিয়েছিলেন হালকা গোলাপি রঙের ভারি কাজের শেরওয়ানি। থিমের সঙ্গে মিলিয়েই বর-কনে পছন্দ করেছিলেন মুক্তো গাঁথা হালকা গোলাপি গোলাপের মালা। সব মিলিয়ে সন্দীপ্তা-সৌম্যর বিয়ের সাজ যেন মন জুড়িয়ে দিল। সৌম্য ও সন্দীপ্তার বিয়ে দিয়েছেন নন্দিনী ভৌমিক। বৈদিক মতে বিয়ে তাই হয়নি কোনও কন্যাদান। বিয়ের আসরে এদিন নজর কেড়েছিল সন্দীপ্তার হেডসেট বা মাথাপট্টি। হৃদয়ের আকারের এই গয়না ছিল বেশ অন্যরকম।