কলকাতা: ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন অভিনয় করতে। হিরো হতে নয়, চরিত্রাভিনেতা হতে। সে সময় অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি, থিয়েটারের কাজও চলছে। খুব শখ ছিল, শ্যুটিং কী করে হয় দেখবেন। থিয়েটারের সূত্র ধরেই পৌঁছে গিয়েছিলেন হেমলক সোস্যাইটি (Hemlock Sociaty)-র সেটে। সেখানে এক ঝলকের একটা অভিনয়ও করেছিলেন। কিন্তু সেসময় অভিনয় নয়, অনেক বেশি আকর্ষণ করেছিল শ্যুটিংয়ের পদ্ধতি। অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করলেও সহকারী পরিচালকের কাজও সমান আকর্ষণ করত তাঁকে। নিজের প্রথম ছবির মুখ্যচরিত্রের দায়িত্ব যে তাঁকে দেবেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য (Anirban Bhattacharyya), একথা প্রথমটা যেন ভাবতেও পারেননি সত্যম ভট্টাচার্য্য (Satyam Bhattacharya)।


প্রথম মুখ্যচরিত্রের দায়িত্ব পালনের চাপ কি অভিনয়ের ওপরেও পড়ে? সত্যম বলছেন, 'একমাত্র যেদিন রাজবাড়িতে প্রথম শটটা দিলাম, একটু টেনশন হয়েছিল। আমার প্রথম শ্যামল চক্রবর্তীর সঙ্গে। থিয়েটারের একজন অভিজ্ঞ অভিনেতা আর আমি বেশ নবীন সে তুলনায়। শট ওকে হয়ে যাওয়ার পরেই শান্তি। তবে একটা চাপা উত্তেজনা তো থাকেই যে শুরু হয়ে গেল কাজটা। আগামী কিছুদিন নিজেকে এই কাজটার মধ্যে উজাড় করে দিতে হবে। তবে যখন তৈরি হয়ে ফ্লোরে যেতাম, মুখ্যচরিত্রের বাড়তি দায়িত্ব অনুভব করিনি কখনও।'


সত্যমের প্রথম বড়পর্দায় কাজ নাকি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) ছবিতে? হেসে ফেলে সত্যম বললেন, 'হেমলক সোস্যাাইটিতে এক্কেবারে এক ঝলকের জন্য আমায় দেখা গিয়েছিল। জুনিয়র আর্টিস্ট। তবে সেই অভিনয় করার চেয়ে শ্যুটিং দেখা আমার কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল।'


আরও পড়ুন: Ballabhpurer Roopkotha Exclusive: 'মন্দার'-এর সহকারী পরিচালককেই নিজের প্রথম ছবির নায়ক হিসেবে বাছলেন অনির্বাণদা: সত্যম


'বল্লভপুরের রূপকথা'-র জন্য নিজেকে কিভাবে তৈরি করেছিলেন সত্যম? অভিনেতা বলছেন, 'প্রথম প্রথম একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করত। তবে অনির্বাণদা একেবারে থিয়েটারের মতো করেই অভিনেতাদের তৈরি করেন। বার বার রিহার্সাল, টেবিল রিড ফরম্যাট.. সমস্ত কিছুর মধ্যে নিয়েই আস্তে আস্তে আমি সত্যম থেকে বল্লভপুরের রাজাবাহাদুর হয়ে উঠলাম। আর অনির্বাণদা কী চাইছেন সেটা অভিনেতাদের স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে পারেন। অনির্বাণদা পরিচালনা করার সময় অভিনেতাদের প্রতি যে যত্ন নেন, সেটা কেবল একজন পরিচালক নন, একজন অভিনেতা পরিচালকই পারেন।'


ফ্লোরে কখনও বকাবকি করেছেন পরিচালক? হেসে ফেলে সত্যম বললেন, 'না বললে মিথ্যে বলা হবে। একদিন একটা সংলাপে বার বার ভুল করায় রেগে গিয়েছিলেন অনির্বাণদা। তবে সেই বকুনিটা আমার উপকারই করেছিল। আরও ভাল কাজ করার ইচ্ছাটা বাড়িতে তুলেছিল।'