নয়াদিল্লি: শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। বাদশা (Baadshah)। কিং খান (King Khan)। অনুরাগীদের কাছে এমনই নানাভাবে পরিচিত তিনি। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা দেখে ইর্ষা হয় বহু নায়কের। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন শাহরুখ খানের অনুরাগীরা। তাঁরা এক ভাষাভাষীর নন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছেন শাহরুখ খানের অনুরাগীরা। তবে, শাহরুখ খানের দেশের মানুষ হওয়ায় অদ্ভূত অভিজ্ঞতা হল এক অধ্যাপকের। তিনি এক ট্রাভেল এজেন্টেকে টাকা পাঠাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। তখনই তাঁর এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতা হয়। আর সেই ঘটনা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন ওই অধ্যাপক।


আরও পড়ুন - Bollywood Celebrity Updates: সম্পর্কে চিড়? সোহা-কুণালের মাঝে 'তৃতীয়' কারও আগমণ?


অশোকা ইউনিভার্সিটির ইকোনমিক্সের অধ্যাপক অশ্বিনী দেশপাণ্ডে। মিশরের এক ট্রাভেল এজেন্টকে তাঁর প্রয়োজন ছিল টাকা পাঠানোর। সেই সময় বিপাকে পড়েন ওই অধ্যাপক। মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্বিনী দেশপাণ্ডে লিখেছেন, 'মিশরে এক ট্রাভেল এজেন্টকে টাকা পাঠানোর দরকার ছিল। কিন্তু টাকা পাঠানোর সময় আমি কিছু সমস্যায় পড়ি। তখনই ওই ট্রাভেল এজেন্টে আমাকে বলেন, 'আপনি শাহরুখ খানের দেশের মানুষ? আমি আপনাকে বিশ্বাস করি। তাই টাকা ছাড়াই বুকিং আমি আগেই করে দিচ্ছি। আপনি আমাকে পরে টাকা দিয়ে দেবেন। অন্যক্ষেত্রে আমি মোটেই এটা করি না। কিন্তু শাহরুখ খানের জন্য যেকোনও কিছু করতে পারি।' আর ওই ট্রাভেল এজেন্ট আমার বুকিং করে দেন কোনও অগ্রিম টাকা ছাড়াই। সত্যিই শাহরুখ খান কিং।'



অধ্যাপক অশ্বিনী দেশপাণ্ডের পোস্ট করা এই টুইটে আপ্লুত কিং খানের অনুরাগীরা। কমেন্টে এক অনুরাগী আবার লিখেছেন, 'কাজের প্রয়োজনে আমাকে প্রায়ই আর্জেন্টিনায় যেতে হয়। ওখানে ট্রেনে যাত্রা করার সময় যখনই আমার ফোনে ওখানকার কেউ শাহরুখ খানের ছবি দেখেন, আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, 'এটাই মিস্টার খান তো?' শাহরুখ খানের একজন অনুরাগী হিসেবে আমার গর্ববোধ হয়।' এভাবেই অধ্যাপকের সোশ্যাল মিডিয়া ভরে ওঠে শাহরুখ অনুরাগীদের নানা কমেন্টে। এটাই কিং খানের জাদু।