কলকাতা: পরিচালকের জীবনের প্রথম পরিচালক ছিলেন তাঁর মা। তাঁর হাত ধরেই প্রথম নাটকের মঞ্চে পা, উচ্চারণ শেখা, আবৃত্তি শেখা, গলা উঁচু করে কথা, মঞ্চে হাঁটা, ভাবনা... সবকিছু। সময় পেরিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাসকৌতুক 'পেটে ও পিঠে' অভিনেতা এখন টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা, পরিচালক। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায় (Shiboprosad Mukherjee)। সাফল্যকে ছুঁয়েও এই তারকা এখনও ছোটবেলার মতোই মায়ের কাছাকাছি। রাতে তিনি বাড়িতে না ফেরা পর্যন্ত মা বসে থাকেন খাবার নিয়ে, আর তাই, সব পার্টি থেকে না খেয়েই ফিরে আসেন শিবপ্রসাদ। 


আরও পড়ুন: Mothers Day 2022: পাঁচ মাস বয়সে মাতৃহারা, পিসিকে মা বলে জেনে এলাম চিরকাল: পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়


শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায় হয়ে ওঠার সফরকে কতটা ঘিরে রয়েছেন তাঁর মা? পরিচালক, অভিনেতা বলছেন, 'মায়ের কাছে প্রচুর মার খেয়েছি। একই জিনিস বারে বারে অভ্যাস করাতেন মা। আমি 'বজ্র' কথাটা উচ্চারণ করতে পারতাম না। সেটা মা শিখিয়েছিলেন। আমি ভীষণ দুষ্টু ছিলাম। পড়াশোনা করতাম না একেবারেই। সারাক্ষণ খেলা। সেসময়ে মায়ের বকুনি খেয়েছি, মারও খেয়েছি প্রচুর। তবে আজও আমার, আমাদের প্রত্যেক ছবির কোথাও না কোথাও মা লুকিয়ে রয়েছেন। এখনও আমি বাইরে গেলে মা খাবেন না, ঘুমোবেন না। সবাই জানেন, আমি কোনও পার্টিতে গিয়ে খেতে পারি না। কারণ আমি বাড়ি ফিরে না খেলে আমার মা খাবেন না। আমি যদি মুম্বই যাই, তাহলে বোধহয় মা খাওয়া দাওয়াই ছেড়ে দেবেন। এখনও মা আমার অভিনয়ের সবচেয়ে বড় সমালোচক আবার প্রেরণাদাত্রী। মাকে অবশ্য একথা মুখ ফুটে বলা হয় নি কখনও।'


মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয় কখনও? হাসতে হাসতে শিবপ্রসাদ বললেন, 'আমার ঝগড়া করার মানুষটা আমার মা। স্ত্রী বলেন, বাড়িতে কাক চিল বসবে না। মা কেন ঠিক করে খাওয়া দাওয়া করছেন না, কেন খবরের কাগজ গুছিয়ে রাখা হয়নি সবকিছু নিয়েই ঝগড়া হয়। তবে জানি, আমার মাকে ছাড়া একদিনও চলবে না, আর মায়েরও আমায় ছাড়া চলবে না।'