তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: সেই সময়ে তিনি ঘুরতে গিয়েছিলেন মেঘালয়ে। স্বামীর সঙ্গেই। সেই সময়ে প্রথম অফার আসে ফোনে। তারপরে পরিচালকের সঙ্গে কথা। চিত্রনাট্য শুনে প্রশ্ন করেছিলেন, 'আমি পারব তো?' আশ্বাস দিয়েছিলেন পরিচালক। কোনও অডিশন হয়নি, তাঁর পরিচিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর কাজই। ধারাবাহিক, সিনেমার পরে, প্রথমবার ওয়েব সিরিজে অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে ভাগ করে নিলেন প্রথম ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের গল্পও। 


'হইচই'-এর নতুন ওয়েব সিরিজ 'ডাইনি' (Daini)। সেখানেই একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে শ্রুতিকে। এই ওয়েব সিরিজেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। মিমির এটা দ্বিতীয় ওয়েব সিরিজ ও শ্রুতির প্রথম। কেমন হল কাজ করার অভিজ্ঞতা? শ্রুতি বলছেন, 'টিমটা ভীষণ ভাল। কখনও টিমের কাউকে বসে গল্প করতে দেখিনি। সবাই সবসময় কাজ করছে। খুব এনার্জেটিক। দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা সব মিলিয়ে। আমার চরিত্রটা ছোট হলেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটুকুই বলতে পারব যে দর্শকেরা আমায় এর আগে, ধারাবাহিক বা সিনেমায় এমন চরিত্রে দেখেননি। সবাইকে চমকে দেবে আমার চরিত্রটা।'


কেমন হল মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা? উত্তর দিতে গিয়ে শ্রুতির কন্ঠে উচ্ছ্বাস। বললেন, 'মিমিদি ইজ় লাভ। ওঁর শুরুটাও তো ধারাবাহিক থেকে। কাজেই ধারাবাহিক থেকে ছবিতে কাজ করার স্টাগলটা উনি জানেন। এমনও সময় গিয়েছে যে মিমিদি শট থামিয়ে আমার ঘাম মুছিয়ে দিয়েছে। মেকআপ, চুল ঠিক করে দিয়েছে। আমার এত ভাল লেগেছে যে শ্যুটিংয়ের শেষদিন আমি ওঁকে গিয়ে বললাম, 'যখন তোমার মতো সিনিয়র হব, আমিও যেন আমার জুনিয়রদের সঙ্গে এই ব্যবহারটাই করতে পারি।' শো-অফ নয়, উনি যে কতটা মাটিতে পা রেখে চলেন সেটা ওঁর কাজেই বোঝা যায়।'


বড়পর্দা, ছোটপর্দা, ওয়েব সিরিজ তিনটে মাধ্যমেই কাজ করে ফেললেন শ্রুতি। এরপরে কী পরিকল্পনা রয়েছেন? হাসতে হাসতে শ্রুতি বলছেন, 'অনেকের ধারণা রয়েছে, আমার বর অম্বানির ছেলে। তাই আমি পর পর কাজ পাচ্ছি। তাহলে তো বলতে হয় হইচই, উইন্ডোজ সবই আমার বরের কেনা। আমাকেও সবার মতোই নিজের দমে কাজ পেতে হয়.. এটাই কেউ বোঝেন না। আমাদেরও তো বাবা-মা আছেন। খুব মধ্যবিত্ত মানসিকতা থেকে উঠে এসেছি বলে এখনও এসব কথাগুলো শুনলে কষ্ট হয়। আমি একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে সংসার পেতেছি। বাবা-মাকে এনে রেখেছি। এখনও অটো-মেট্রোয় যাতায়াত করি। মানুষের ভালবাসাটাই একমাত্র প্রাপ্তি। আপাতত ইচ্ছে আছে ধারাবাহিকেই কাজ করার। তবে আমি সমস্ত মাধ্যমেই কাজ করতে চাই।'


একটু থেকে শ্রুতি যোগ করলেন, 'যে কোনও কাজের শেষেই আমি একবার করে আমার কাটোয়ার বাড়ি চলে যাই। ওই বাড়ি, ওই মাটি আমার কাছে ভীষণ লাকি। আমি মনে করি ওখান থেকে ভাল কিছুর শুরু হবে।'


 






আরও পড়ুন: Kanchan Sreemoyee: 'এতদিন পরে নিয়ে যাচ্ছে', কাঞ্চনের সঙ্গে হানিমুনে যেতে যেতে শ্রীময়ীর উচ্ছ্বাস


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।