মুম্বই: পুলিশের হেফাজত পালাল পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত দীপক টিনু (Deepak Tinu)। গত ২৯ মে খুন হয় গায়ক। নিরাপত্তা তুলে দেওয়ার কয়েকদিনের মাথায় খুন হয়েছিলেন তিনি। নিজের গাড়িতে করেই যাচ্ছিলেন সিধু। ঠিক সেই সময়ে আততায়ীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ফেলে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় তাঁকে। এই ঘটনার পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। 


তদন্তে সিধু মুসেওয়ালা খুনে উঠে আসে লরেন্স বিষ্ণোই যোগ। এই খুনের ঘটনায় ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত এই দীপক টিনু । গোইন্দয়াল সাহিব জেলে রাখা হয়েছিল তাকে। জেরা করা হচ্ছিল সেখানেই। গতকাল অর্থাৎ শনিবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য জেল থেকে বের করা হয় টিনুকে। ঠিক এই সময়েই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দেয় গ্যাংস্টার। 


আরও পড়ুন:Kajol at Durga Puja: 'ঐতিহ্য এভাবেই বয়ে যায়', দুর্গাপুজোয় ছেলেকে ভোগ বিতরণ শেখাচ্ছেন কাজল


মানসা জেলায় নিয়ে যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। টিনুর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি গ্যাংস্টার টিনুর। 


পঞ্জাবের মানসা জেলায়, নিজের গ্রাম জাওয়ারে খুন হয়েছিলেন সিধু। অন্য দিন বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে বেরোলেও, এ দিন মহিন্দ্রা থর জিপ নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। চালকের আসনে ছিলেন নিজেই। সঙ্গে ছিলেন দুই বন্ধু। পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় তিন দিক থেকে তিনটি গাড়ি এসে সিধুকে ঘিরে ফেলে। তার পর এলোপাথাড়ি সাত রাউন্ড গুলি চালানো হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। আত্মরক্ষার কোনও সুযোগই পাননি সিধু। গাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুলিবিদ্ধ হন তাঁর দুই বন্ধুও। 


ওই হত্যা মামলায় পঞ্জাবের এক নামী গায়কের ম্যানেজারেরও হাত ছিল বলে সেই সময় পুলিশকে জানায় ধৃতরা। সূত্রের খবর, ওই ম্যানেজার আর কেউ নন, সিধুরই ম্যানেজার। তাই ওই হত্যা মামলায় সিধুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নিহত ভিকি আবার স্থানীয় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল কানাডার গোল্ডিরও। ভিকির খুনের বদলা নিতেই লরেন্সের লোকজন সিধুকে খুন করেছে বলে দাবি পুলিশের।