মুম্বই: ’ দিল দিয়া গাল্লা‘....’টাইগার জিন্দা হ্যায়‘ ছবির গানের দৌলতে বহু ঘরে এখন পরিচিত নাম নেহা ভাসিন। সেই নেহা ভাসিন মুখ খুললেন শ্লীলতাহানি নিয়ে। অকপটে জানালেন মাত্র ১০ বছরেই শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ’’ ১০ বছর বয়সে আমি হরিদ্বার বেড়াতে গিয়েছিলাম। যেদিন ঘটনাটি ঘটে, সেদিন আমার থেকে একটু দূরেই ছিলেন মা। হঠাৎ একজন এসে আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করল।আমি রীতিমতো ভয় পেয়ে যাই। দৌড়ে পালাই। এর কিছু বছর পরে এক হলের মধ্যে একজন লোক আমার শরীরে হাত দিয়েছিল। এই ঘটনাগুলি আজও আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমার সঙ্গে এমন হওয়ার পর আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম হয়তো এটা আমার দোষ। এখন দেখি শ্লীলতাহানি নিয়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হচ্ছেন। কত ধরনের অভব্যতা যে হয়, সেটি এখন দেখি। মানসিক, শারীরিক, আবেগপূর্ণ বা আধ্যাত্মিকার মিশেলে নানান অভব্যতা দেখতে পাই--- আমার মতে এগুলি মুখহীন সন্ত্রাস।‘‘
সাইবার বুলিং নিয়েও তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। এক ব্যান্ড সদস্য তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন বলেও জানিয়েছেন। নেহার কথায়. ’’একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ব্যান্ড সম্পর্কে আমার না ভালো লাগার কথা জানিয়েছিলাম। কোনও অসম্মানজনক কথা বা অপমানজনক কথা বলিনি। শুধু বলেছিলাম ওদের গান আমার ভালো লাগে না। এরপরেই আমি ট্রোলড হতে শুরু করি। এমনকি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু আমি চুপ করে বসে থাকতে পারিনি। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলাম।‘‘
সাইবার বুলিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে নেহা ভাসিন রেকর্ড করেছিলেন ’কান্দে রান্ধে রে‘ বলে একটি গান। সেটি গানের বদলে প্রতিবাদের ভাষা বলা যেতে পারে। সুরের ভাষায় ট্রোলিং, লিঙ্গ বৈষম্য, যৌনতা সহ আরও কয়েকটি ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছিলেন গায়িকা।