যে ট্যুইট ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে দীপিকার একটি বিকৃত ছবি রয়েছে। ছবিতে দীপিকাকে একটি মারিজুয়ানা জয়েন্ট হাতে নিয়ে দেখা যাচ্ছে। ফটোশপ করা এই ছবিতে দীপিকার এক চোখের রঙ নীল এবং অন্য চোখ সবুজ এবং তাঁকে মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে দেখা যাচ্ছে।
এই অত্যন্ত আপত্তিকর বিকৃত ছবির ক্যাপশনও খুবই নিম্নরুচির। লেখা হয়েছে, আমার অনুসরণ কর, ডি ফর ডিপ্রেশন, ডি ফর ড্রাগস, ডি ফর দীপিকা।
এমন ছবি শ্রমমন্ত্রক রিট্যুইট করায় সোনু হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছে, মন্ত্রকের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এমন ভুল আদৌ কাঙ্খিত ছিল না। মন্ত্রক এখন অবশ্য বিতর্কিত রিট্যুইটটি সরিয়ে দিয়েছে।
সোনু বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর চলতি তদন্ত নিয়েও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, এখন যে তদন্ত চলছে তা আর প্রয়াত অভিনেতাকে নিয়ে নয়।
সুশান্তর মৃত্যুতে মাদক যোগ তদন্তে এনসিবি ইতিমধ্যেই রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে। এই মামলায় এনসিবি দীপিকাকেও তলব করেছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। রবিবার অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আনভেরিফায়েড হ্যান্ডেল @ অফিসিয়াল সোনু-তে শিল্পীর ছবি প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন সেই হ্যান্ডেলের নাম বদলে করা হয়েছে সোনু হেলা এবং প্রোফাইল পিকচারও বদল করা হয়েছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে সোনু বলেছেন, কোনও ভুয়ো অ্যাকাউন্টের ছবি শ্রমমন্ত্রক রিট্যুইট করছে, এমনটা কোনও ভালো ও মেধাসম্পন্ন দেশে হতে পারে, তা ভাবা যায় না। সোনু বলেছেন, এটা দেখিয়ে দেয় যে, দেশে কিছু মানসিক বিশৃঙ্খলা চলছে।
ভিডিওতে সোনু বলেছেন, গত তিন-সাড়ে তিন বছর তিনি মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইটে নেই এবং তাঁর ফেরারও কোনও পরিকল্পনা নেই। শিল্পী আরও বলেছেন, দেশে সাইবার পুলিশ বলতেও কিছু নেই। কারণ, তাঁর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট চালানোর অভিযোগ তিনি বহুবারই করেছেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখনও তাঁর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট চালানো হচ্ছে।
পুরো ঘটনায় নিজের অসহায়তা ব্যক্ত করে সোনু বলেছেন, যদি শ্রমমন্ত্রকই বুঝতে না পারে যে, তিনি ট্যুইটারে নেই, তাহলে সাধারণ মানুষ তা জানবেন, এমনটা তিনি আশা করতে পারেন কীভাবে। সোনু বলেছেন, তিনি এই নোংরামিতে নেই এবং অন্যের দুর্দশা থেকে কোনও মজা পান না। তাঁর নামে আজেবাজে কিছু রিট্যুইট না করতে তিনি মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।