কলকাতা: শিশুশিল্পী হিসেবে ছোটবেলায় একাধিকবার ডাক পেয়েছিলেন তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) কাছ থেকে। তখন তিনি অভিনয় করছেন চুটিয়ে। কিন্তু কাজ করা হয়নি কিংবদন্তি পরিচালকের সঙ্গে। কারণ? তাঁর মার্চ মাসে পরীক্ষা থাকত, আর সেই সময়েই শ্যুটিংয়ের কাজ করতেন তরুণ মজুমদার। আজ, পরিচালকের মৃত্যুর পর, তাঁকে নিয়ে প্রচুর স্মৃতি ভিড় করে আসছে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)-র মনে।


শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম তিনটি ছবির ডাকই বাতিল করতে হয়েছিল। এবিপি আনন্দকে (ABP Ananda) সোহম বলছেন, 'ছোটবেলায় ওঁর সঙ্গে আমার তিনটি ছবির কথা হয়েছিল। কিন্তু একটাও আমি করে উঠতে পারিনি। কারণ সেইসময়ে উনি মার্চ মাসে শ্যুটিং করতেন। আর আমার বার্ষিক পরীক্ষা চলত। চতুর্থ ছবির জন্যও ডাক পেয়েছিলাম কিন্তু করা হয়ে ওঠেনি সেটাও। কারণ সেসময় সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Roy) 'শাখাপ্রশাখা'-র (Sakha Proshakha) শ্যুটিং হওয়ার কথা ছিল। বাবা-মা বুঝতে পারছিলেন না, কোন ছবিতে আমার অভিনয় করা উচিত। এই কথা যখন তরুণ মজুমদারের কানে গিয়ে পৌঁছয়, উনি বলেন ও মানিকদার ছবিটাই করুক, ওকে আমি আবার ডাকব। সেদিনই উনি প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, কত বড় মানুষ উনি।'


আরও পড়ুন: Tarun Majumdar Demise: “বাঙালির কাছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের দিন'' তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের


এরপর তরুণ মজুমদারের ছবিতে কাজ করার সুযোগ আসে পরিণত বয়সে। ছবির নাম, 'চাঁদের বাড়ি' (Chander Bari)। সোহম বলছেন, দ্বিতীয় মুখ্য চরিত্র হিসেবে পরিণত বয়সে অভিনয় করা আমার প্রথম ছবি 'চাঁদের বাড়ি'। সোহম বলছেন, 'একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়ে যায়, চাঁদের বাড়িতে একটা দৃশ্য ছিল কেবল ভায়োলিন বাজানোর। উনি সেটা ক্যাসেটে বাজিয়েছিলেন আর পুরো দৃশ্যটা নিজে পরে শুনিয়েছিলেন। একজন অভিনেতার মনে আবেগ আনার জন্য ওই পাঠটা যথেষ্ট ছিল। ওনার সান্নিধ্যে আসতে পারাটা আমার কাছে একটা বিশাল প্রাপ্তি।'