Thalaivi Jayalalithaa Biopic: তথ্যগত ভুলের অভিযোগ, মুক্তির পরেই ফের বিতর্কে কঙ্গনার 'থালাইভি'

মুক্তি পেতেই ফের বিতর্ক! এআইএডিএমকে দলের প্রাক্তন মন্ত্রী ডি জয়কুমার অভিযোগ আনলেন, জয়ললিতার বায়োপিক 'থালাইভি'-তে, তথ্যগত ভুল রয়েছে। 

Continues below advertisement

মুম্বই: মুক্তি পেতেই ফের বিতর্ক! এআইএডিএমকে দলের প্রাক্তন মন্ত্রী ডি জয়কুমার অভিযোগ আনলেন, জয়ললিতার বায়োপিক 'থালাইভি'-তে, তথ্যগত ভুল রয়েছে। 

Continues below advertisement

এ এল বিজয় পরিচালিত এই ছবিটি দেখার পর ডি জয়কুমার জানান, ছবিটি অত্যন্ত ভালো এবং যথেষ্ট গবেষণা করেই তৈরি করা হয়েছে। তবে কয়েকটি জায়গায় তথ্যগত ভুল রয়ে গিয়েছে। এম জি রমাচন্দ্রণকে নিয়ে যে তথ্যগুলি দেখানো হয়েছে তাতে কিছু ভুল রয়েছে। আন্নাদুরাই এম জি রমাচন্দ্রণকে একজন মন্ত্রীর পদ দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেই পদ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন তিনি। তার বদলে একটি ছোট বিভাগের ডেপুটি চিফের পদ নেন তিনি। ১৯৬৯- এ আন্নাদুরাইয়ের মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে করুণানিধির নাম প্রস্তাবিত করেছিলেন এম জি রমাচন্দ্রণ।

ডি জয়কুমার আরও জানান, ছবিতে দেখানো হয়েছে, এম জি রমাচন্দ্রণকে না জানিয়েই রাজীব গাঁধী ও ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন জয়ললিতা। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়। জয়ললিতা কখনও তাঁর নেতার বিরোধিতা করেননি।

ছবিটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। তিনি এই ছবি সম্পর্কে বলেছেন, 'আমার রাজনৈতিকদের নেতাদের জীবন নিয়ে আগ্রহ ছিল। মনে হত, ওনারা হলেন সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। কিন্তু থালাইভি-তে অভিনয় করতে গিয়ে আমার সেই ধারনা বদলে গিয়েছে। একজন রাজনীতিবিদের জীবনকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেলাম, জানার সুযোগ পেলাম এই ছবির সৌজন্যে। নেতাদের জীবন মোটেই সহজ হয় না। তাঁদের একেবারে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিশে যেতে হয়, জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হয় আবার সমাজের একেবারে উপরতলার মানুষদের সঙ্গেও সমানভাবে যোগাযোগ রাখতে হয়।' জয়ললিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কঙ্গনার উক্তি, 'ভাবতে পারছেন, সেই মানুষটা কতটা বুদ্ধিদীপ্ত ছিলেন যিনি এত বড় বড় অফিসারদের নির্দেশ দিয়ে কাজ করাতে পারতেন!'

মুক্তির আগে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই ছবি সম্পর্কে মুখ খোলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা। জয়ললিতার ১৬ থেকে ৪২ বছর পর্যন্ত জীবন তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। সব বয়সেই কঙ্গনাকে দেখা গিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন লুকে। কঙ্গনা জানিয়েছেন, প্রথমে এই ছবিতে অভিনয় ও তাঁর লুক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের সম্মুখীনও হতে হয়েছিল তাঁকে। প্রায় গোটা বছরের অর্ধেকটা ধরেই চলেছে এই ছবির শ্যুটিং। কাজ চলাকালীন চরিত্রের প্রয়োজনে ২০ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন কঙ্গনা। আবার তা ঝরিয়েও ফেলেছিলেন।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola