এই আইকনিক সিনেমার রিমেক নিয়ে তাঁর অসন্তোষের কথা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট মারফত্ জানিয়েছেন সোনম। তিনি বলেছেন, এই সিনেমার রিমেকের ঘোষণার আগে কেউ তাঁর বাবাকে কিছু জানাননি, জানানো হয়নি শেখর কপূরকেও। অভিনেত্রী বলেছেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, তাঁর বাবা ওই সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর বাবার কাছে এই সিনেমা তাঁর ঐতিহ্যের একটা অঙ্গ।
সিনেমার রিমেক সম্পর্কে এক অনুরাগীর ট্যুইটের জবাব দিতে গিয়ে শেখর কপূর বলেছেন, কেউই আমাকে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া ২’ নামের এই সিনেমা সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করেননি বা কোনও কথা বলেননি। আমি শুধু অনুমান করতে পারি যে, উইকএন্ডে বড়সড় কালেকশনের প্ল্যান করতে সিনেমার টাইটেল ব্যবহার করছে। সিনেমার মূল নির্মাতাদের অনুমতি ছাড়া তাঁরা চরিত্র বা কাহিনীর ব্যবহার করতে পারেন না।
আলি আব্বাস জাফর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মিস্টার ইন্ডিয়া ট্রিলোজির ঘোষণা করেছেন।
১৯৮৭ সালে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমার পরিচালনা করেছিলেন শেখর কপূর। অনিল কপূর, শ্রীদেবি, অমরেশ পুরী, সতীশ কৌশিকের অভিনীত এই ছবির প্রযোজক ছিলেন বনি কপূর। ‘হাওয়া হাওয়াই’র মতো গান যা বলিউডের সোনালি অধ্যায় রচনা করেছে তা এই ছবিরই দান। কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, কিশোর কুমারের মতো শিল্পীরা এই ছবিতে গান গেয়েছেন। সঙ্গীতে ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল জুটি। সঙ্গে অবশ্যই বলতে হবে জাভেদ আখতারের কথাও। এই সিনেমায় অমরীশ পুরীর ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’ সংলাপ এখনও চলচ্চিত্র- প্রেমীদের মনে তরতাজা।