মুম্বই:  ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সম্প্রতি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সমকামিতা নিয়ে তাঁর মতপ্রকাশ করেন। তাঁর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া জানতে চান, কোনও ব্যক্তির মধ্যে যদি সমকামিতা বা বহুগামিতার প্রবণতা থাকে, তাহলে তাঁর পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধবের তাঁর সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা উচিত?  তিনিও কি ওই পড়ুয়ার সঙ্গে সেই একইধরনের আচরণ করবেন, যেমন তাঁর কাছের মানুষরা তাঁর সঙ্গে করে থাকেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে রবিশঙ্কর বলেন, সমকামিতা হচ্ছে একটি ‘প্রবণতা’, যেটা পরবর্তী সময় বদলে যেতে পারে। ধর্মগুরুর কথায়, ওই পড়ুয়ার নিজেকে অসুস্থ মনে করার কোনও কারণ নেই, বা তিনি কোনও গর্হিত কাজ করছেন এমন ভাবারও কোনও প্রয়োজন নেই।


কেউ যদি নিজের যৌন চাহিদা সম্পর্কে স্পষ্ট থাকেন, তাহলে তাঁর লজ্জিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। নিজে শক্ত থাকলে, কেউ সমকামী হওয়ার জন্যে কাউকে অপমান করতে পারেন না। কিন্তু কেউ যদি নিজেই গ্লানিতে ভোগেন, তাহলে তাঁকে সবাই ছোট করবেন। রবিশঙ্করের দাবি, তিনি তাঁর জীবনে বহু মানুষকে দেখেছেন, যাঁরা একসময় সমকামী ছিলেন, পরে বহুগামী হয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার সম্পূর্ণ স্ট্রেইট হয়ে গিয়েছেন। আবার অনেকে প্রথম জীবনে স্ট্রেইট হলেও, পরে সমকামী হয়ে গিয়েছেন, এমন নিদর্শনও নাকি বহু আছে, দাবি ধর্মগুরুর।

ধর্মগুরুর এই মন্তব্যের পরই কার্যত ফুঁসে ওঠেন অভিনেত্রী সোনাম কপূর। সাধারণত চাঁচাছোলা কথা বলতে অভ্যস্থ সোনাম এবারও তাঁর মতপ্রকাশে কাউকে রেয়াত করেননি। তিনি টুইটে স্পষ্টই দাবি করেছেন, সমকামিতা কোনও প্রবণতা নয়, এটা সম্পূর্ণ একটি স্বাভাবিক যৌন চাহিদা। কাউকে এই কথা বলা যে, পরবর্তী সময় তাঁর যৌন চাহিদা বদলে যেতে পারে, সেটা একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য। এমনকি সমকামিতাকে প্রবণতা হিসেবে বর্ণনা করা ঘুরিয়ে বিষয়টিকে একটি রোগ বলা একই ব্যাপার। তারপর অভিনেত্রী বলেন, হিন্দু ধর্ম এবং তাঁর ঐতিহ্য নিয়ে মতপ্রকাশের আগে, প্রত্যেকেরই উচিত সেটা ভালভাবে জানা, তারপর কথা বলা।