কলকাতা: আজকের দিনে শেষবারের মত ক্যামেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তারপর আর হয়নি। শেষদিনের সেই ছবি শেয়ার করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগপ্রবণ সৌমিত্র কন্যা পৌলমী বসু। 


আজ ক্যামেরার কিছু ছবি শেয়ার করে পৌলমী লেখেন, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, শেষবারের মত বাপি ক্যামেরার সামনে বসেছিলেন। তখনও বুঝিনি এটা শেষের শুরু ছিল। গতবছর এই দিনটা সারাদিন আমি ভারতলক্ষী স্টুডিওতে কাটিয়েছিলাম। অবাক হয়ে দেখেছিলাম ওনার প্রাণশক্তি। সিনেমার প্রতি ওনার ভালোবাসা। আর কি করে মানুষ হিসাবে তিনি ক্যামেরার সামনে নিজেকে আরও উন্নত করে তোলেন। তোমায় ভালোবাসি বাপি। ভাইটু, ছোটি দাদা আর আমি তোমার প্রত্যেকটা দিন মিস করি।'



১৫ নভেম্বর ২০২০ সালে পরলোকে পাড়ি দেন চলচ্চিত্র জগতের প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। শেষবার তাঁকে নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্রে কাজ করছিলেন তিনি। 


দেব প্রযোজিত 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী' ছবিতে ভাষ্যপাঠ করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ছবি শুরু হচ্ছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্ঠস্বর দিয়ে। কেমন ছিল 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী'-র সঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যুক্ত করার অভিজ্ঞতা?  এবিপি লাইভকে দেব বলেছেন, 'এর আগে ওনার সঙ্গে সাঁঝবাতিতে কাজ করেছিলাম। সেই থেকেই সৌমিত্র স্যরের কাছাকাছি আসা। সেই সাহস নিয়েই ওনার কাছে চিত্রনাট্য নিয়ে গিয়েছিলাম। যদি উনি ভাষ্যপাঠটা করেন। মাত্র ৩ মিনিটেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন উনি। টাকার কথা বললে উত্তর দিয়েছিলেন, 'ধ্যুর এর জন্য টাকা নেব কী! তুমি ভালো কাজ করছো। খালি সময় বলে দিও আর গাড়ি পাঠিয়ে দিও। আমি পৌঁছে যাব।' দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারসের কাছে এটা একটা বড় পাওনা। উনি যেদিন চলে গেলেন, তার কয়েকটা দিন আগেই আমাদের ফোনে কথা হয়েছিল। লকডাউনের মধ্যে উনি একটা বায়োগ্রাফির শ্যুটিং করছিলেন। আমার দেখে খারাপ লাগত। মনে হত এইসময় কেন উনি কাজ করছেন। দু একবার বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। বলেওছিলাম। এখনও আমার ভাবলে খারাপ লাগে। উনি চিরকাল আমাদের কাজের মধ্যেই বেঁচে থাকবেন।'