তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: 'প্রধান'-এর পরে আপাতত দ্বিতীয় ছবির কাজে ব্যস্ত তিনি। ধারাবাহিক তাঁর জনপ্রিয়তার শিকড়, কিন্তু এবার বড়পর্দার স্বপ্নকে ছুঁতে চান তিনি। আর তাই, ধারাবাহিকের কাজে সাময়িক বিরতি নিয়েই বড়পর্দার কাজে ব্যস্ত ছোটপর্দার 'মিঠাই' (Mithaai)। সৌরভ দাসের (Sourav Das) বিপরীতে নতুন ছবি '১০ই জুন'-এর শ্যুটিং করছেন তিনি। তারই ফাঁকে, একমাত্র এবিপি লাইভের কাছে মনের দরজা খুললেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundoo)। 


প্রশ্ন: প্রথম ছবিতে দেব, দ্বিতীয় ছবিতে সৌরভ দাসের সঙ্গে জুটি, কেমন শ্যুটিং চলছে?


সৌমিতৃষা কুণ্ডু: শ্যুটিং প্রায় শেষের দিকে। আরও একটা গান বাকি রয়েছে, সেটারও শ্যুটিং হবে খুব তাড়াতাড়িই। এখন খুব কম সময়ে শ্যুটিং শেষ করার চল রয়েছে টলিউডে। এই ছবিটাও তার বাইরে নয়। খুব টাইট শিডিউলে শ্যুট করেছি বটে, কিন্তু চাপ বলে মনে হয়নি কখনও। আমি, সৌরভদা, বাকি সবাই খুব ভাল করে, মজা করে কাজটা করেছি। যতই চাপ থাকুক, শ্যুটিংয়ের ফাঁকে একটু আধটু গল্প করার সময় ঠিকই বেরিয়ে যেত। 


প্রশ্ন: 'প্রধান' তুলনামূলক বড় ব্যানারের ছবি, '১০ই জুন' সেই তুলনায় নতুন ব্যানার। ছবি বাছার ক্ষেত্রে এগুলো মাথায় কাজ করে?


সৌমিতৃষা: '১০ই জুন'-এর চিত্রনাট্য পেয়ে মনে হয়েছিল, অভিনয়ের জায়গা রয়েছে। সেই কারণেই এই ছবিটা করতে রাজি হওয়া। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনও বড় হাউজ়ের সঙ্গে কোনও পূর্ব যোগাযোগ নেই যে তারাই আমায় বারে বারে কাজ দেবে। যতটুকু পরিচিতি পেয়েছি, সবটাই নিজের চেষ্টায়। সুযোগ পেলে অবশ্যই ফের বড় ব্যানারের ছবিতে কাজ করব তবে সেটা নিয়ে আমার কোনও ছুৎমার্গ নেই। আমার মনে হয়, সেটা বেশিরভাগ অভিনেতা অভিনেত্রীদেরই থাকে না। চরিত্র পেয়ে যদি মনে হয়, এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং, দর্শকদের পছন্দ হবে... এগুলোই মাথায় রেখে চিত্রনাট্য বাছি।




প্রশ্ন: ছোট ব্যানারে কাজ করতে হলে কী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়?


সৌমিতৃষা: নাহ্.. আমায় একেবারেই তা করতে হয়নি এখনও পর্যন্ত। আমি যা চেয়েছি, সবটাই ওঁরা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অতনু স্যর, দেবদার প্রযোজনা সংস্থা.. সব জায়গাতেই আমার একই অভিজ্ঞতা। এখনও পর্যন্ত যা যা কাজ করেছি, সব জায়গাতেই ভীষণ আদরযত্ন পেয়েছি। তবে হ্যাঁ, শুনেছি অনেক ছবির শ্যুটিংয়ের সময় অনেক বড় অভিনেতা অভিনেত্রীদেরও পরিস্থিতির কারণে অনেক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। একসময় এত মেকআপ ভ্যানের রমরমা ছিল না। আউটডোর শ্যুটিংয়ে গিয়ে অভিনেত্রীদের গাছের আড়ালেও পোশাক পরিবর্তন করতে হয়েছে। এখন তো আমরা অনেক সুযোগ সুবিধা পাই। নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে হয়ে সেই কারণে। আসলে অভিনয় পেশাটার যতটা চাকচিক্য বাইরে দেখা যায়, তার একটা উল্টো পিঠও রয়েছে। সেটার কথা তুলে ধরা হয় না সাধারণত। বুম্বাদা-ঋতুপর্ণা ম্যাম যখন কাজ করতেন, তখন তাঁরা এর থেকে অনেক কম সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, তবু তাঁরা কত বড় অভিনেত্রী। আসলে, আমাদের পেশাটাই এমন যে সমস্ত কিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে। এডিটের পরে জীবনটাকে বড্ড চকচকে দেখায়, আসল পরিশ্রমটা থাকে ক্যামেরার পিছনে। যে প্রযোজনা সংস্থা যতটুকু ব্যবস্থা করে দিতে পারছে, ততটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। এরপরে যত বড় হবে, প্রযোজনা সংস্থা নিজেই সব ব্যবস্থা করে দেবে। সেই সম্মান, জায়গাটা নিজে অর্জন করতে হয়।


প্রশ্ন: সৌমিতৃষা কতটা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন?


সৌমিতৃষা: ধারাবাহিকে কাজ করেছি। প্রত্যেকদিন এক একটা আধঘণ্টার এপিসোডের শ্যুটিং যে কতটা চাপে হয়, সেটা যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা বোঝেন। আমার তো মনে হয় সব পরিস্থিতির সঙ্গে আমি মানিয়ে নিতে পারি। ভবিষ্যতেও চেষ্টা করে যাব সবসময়। অতনু স্যর থেকে শুরু করে সবাই তো প্রশংসা করে এসেছেন সবসময়। মানিয়ে না নিতে পারলে এগুলো পেতাম না।




প্রশ্ন: আদৃত-কৌশাম্বির বিয়ে প্রসঙ্গে বারে বারেই আপনার নাম উঠে এসেছে চর্চায়..


সৌমিতৃষা: আদৃতের সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা হয়নি কখনও। 'মিঠাই' ধারাবাহিকটা শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরাও নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত, খুশি। সবাই এগিয়ে গিয়েছি নিজের মতো করে। 


আরও পড়ুন: Chiranjeet Chakraborty: মিঠুনের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের মধ্যে রাজনীতি নেই, তবে ওকে নিয়ে সিনেমা করব না


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।