কলকাতা: ইনস্টাগ্রামে তাঁর ভক্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। টেলিভিশনের দর্শক যে ‘পাখি’ বা ‘ইমন’কে দেখে এসেছেন, ইনস্টাগ্রামে মধুমমিতার অ্যাকাউন্টে ঢুকলে তাঁদের চোখে ধাঁধা লাগবেই। প্রতিদিনই নিজেকে নতুন ভাবে মেলে ধরেন টিভি ও সিনেমার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফলোয়ারের প্রশংসাসূচক কমেন্ট তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু গতকাল  কমেন্টবক্সে যাঁর প্রশংসা এল, তা দেখে মধুমিতা এককথায় 'শকড অ্যান্ড হ্যাপি'! জনপ্রিয় অভিনেত্রীর একটি ছবিতে কমেন্ট করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। 'ভেরি এলিগেন্ট পিকচার'।
একটি হলুদ ট্যাক্সির সামনে সাদা পোশাক পরিহিতা মধুমিতা। হাতের আঙুল খেলা করছে উড়ন্ত চুলে। সেই ছবিতেই প্রশংসা স্বয়ং মহারাজের, যাঁকে ব্যাট হাতে মাঠে নামতে দেখেই হৃদস্পন্দন দ্বিগুণ হয়ে যেত মধুমিতার। 'দাদাগিরি'তেও তাঁর মুখোমুখি হয়েছেন অভিনেত্রী। অনুষ্ঠানের বাইরেও কথা হয়েছে কিছুক্ষণ। তার এতদিন পরে হঠাৎই সৌরভের এই কমেন্ট কার্যত আপ্লুত মধুমিতা।



 

দাদাগিরি-তে কী কথা হয়েছিল সৌরভের সঙ্গে? ''মনে আছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেদিন দায়িত্ব নেন, সেদিন সেই নীল ব্লেজারটি পরেছিলেন যেটি তিনি অধিনায়ক থাকাকালীন পেয়েছিলেন...কেন, জিগ্যেস করেছিলাম'। তাছাড়া ক্যামেরার পিছনেও ওঁকে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। সেই আলাপ মনে রেখে যে উনি আমার ছবিতে কমেন্ট করবেন...ভাবনার বাইরে।''

সৌরভের কমেন্ট সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়েনি। বাড়িতে গিয়ে ইনস্টাগ্রাম চেক করতে গিয়ে দেখেন মহারাজের মন্তব্য। ততক্ষণে তাঁর কমেন্টের রিপ্লাই দিয়ে ফেলেছে মধুমিতার অন্যান্য ভক্তরা। 'ইস কেন তখনই দেখলাম না...' বলছিলেন সকলের জনপ্রিয় 'পাখি'।

সম্প্রতি কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মহালয়ার অনুষ্ঠানের জন্য শুটিং করছেন মধুমিতা। চিরাচরিত গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে রামচন্দ্রের করা দুর্গার অকালবোধনও দেখানো হবে এই মহালয়াতে। তাই অবধারিত ভাবে আসছে সীতার চরিত্র। সীতার ভূমিকায় এবার দেখা যাবে তাঁকে। দেবী দুর্গা কীভাবে প্রতি নারীকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেন, তারই প্রকাশ ঘটেছে সীতার মধ্যে। নারীশক্তির অপর নাম সীতাও। রাবণের চরিত্রে অভিনয় করবেন জনপ্রিয় অভিনেতা রাজেশ শর্মা। এই মহালয়ার মাধ‍্যমেই দীর্ঘদিন পর ফের ছোটপর্দায় দেখা যাবে তাঁকে। 'ওঁর সঙ্গে কাজ করাটাই সবথেকে বড় প্রাপ্তি', বলছিলেন গতবছর দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করা মধুমিতা।



ইনস্টাগ্রামে মধুমিতার ভক্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সিক্রেটটা কী? চিরাচরিত শাড়ি-সালোয়ার পরা লুক থেকে বেরিয়ে আসাই কি এর কারণ? সমালোচনাও তো খুব হচ্ছে! মধুমিতার উত্তর, হয়ত ১০ বছর পরে এই নিয়ে কোনো ট্যাবু থাকবে না। কিন্তু এখন লোকে বিরূপ মন্তব্য করছে। কিন্তু ১০ বছর পর তো আমারও বয়স বেড়ে যাবে। তাহলে এখন কেন নয়? প্রশ্ন অভিনেত্রীর।
' কিছু মানুষ বিকিনি  পরা মহিলাদের দিকেও খারাপভাবে তাকান না। কেউ আবার সালোয়ার বা শাড়ি পরা মহিলাদের পোশাকের নীচে কী রঙের অন্তর্বাস দেখা যাচ্ছে সেই দিকে চোখ রাখে। এটা মানসিকতা।'' , মন্তব্য মধুমিতার।

সম্পর্ক ছেদের পর টলি দুনিয়ার পরিচিত মুখ সৌরভ চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকার কখনওই লুকোছাপা করেননি। পরিষ্কার ভাবেই জানিয়েছেন তাঁদের ভাবনা। কিন্তু এখনও টিভির পর্দায় বিজ্ঞাপনে দুজনকে দেখা যাচ্ছে একসঙ্গে। খারাপ লাগে না? মধুমিতার দাবি, 'এটা বিজ্ঞাপন যে ব্র্যান্ডের তাদের ব্যাপার। আমি কী বলব? এই বিজ্ঞাপন না চালানোই ভাল ছিল। যেহেতু ব্যক্তিগত রসায়নটা আর নেই। আর সেই কথা সকলেই জানে। কিন্তু চুক্তি অনুসারে ওরা সম্ভবত ওই বিজ্ঞাপন আরও বছরখানেক দেখাতেই পারে। তাই আমি ওদের কিছু বলিনি।'