কলকাতা: ফেসবুক থেকে সরলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এদিন পোস্ট করে অভিনেত্রী জানান, তিনি সাময়িক বিরতি নিতে চান ফেসবুক থেকে। তবে অ্যাকটিভ থাকবে তাঁর পেজ।                                                       


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলেখা লেখেন, ' ফেসবুক থেকে সাময়িকভাবে বিরতি নিচ্ছি। তবে আমার পেজ যথারীতি অ্যাকটিভ থাকবে। ফেসবুক ও জীবন থেকে নেতিবাচক মানুষদের পরিষ্কার করে দেওয়ার পরে আশা করি আবার ফিরে আসব। টক্সিটিসি থেকে বিদায়।' আজ সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এটাই ছিল শ্রীলেখার শেষ পোস্ট।                                                                                         


ফেসবুক থেকে বিরতি নেওয়ার কোনও স্পষ্ট কারণ ঘোষণা না করলেও নেটিজেনরা তুলে আনছেন বিনোদিনী বিতর্কের কথা। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মুক্তি পেয়েছে রুক্মিণী মৈত্রর (Rukmini Maitra)-র নতুন ছবির লুক। বিনোদিনীর বেশে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পরে ফেসবুকে শ্রীলেখা লেখেন, 'বিনোদিনী কি রোগা ছিলেন? সাধারণ প্রশ্ন আমার সাধারণ জ্ঞান বাড়াতে। এমনিতেই শত্রুর অভাব নেই কেউ ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না প্লিজ।'                                                                                                                 


আরও পড়ুন: Ghore Pherar Gaan: সুরে বাঁধা পরমব্রত, ইশা, গৌরবের ত্রিকোণ প্রেমের গল্প, ১৭ মার্চ বড়পর্দায় 'ঘরে ফেরার গান'


এই পোস্টের পরেই ফেসবুকে লম্বা পোস্ট করেন অরিত্র দাস (Aritra Das)। শ্রীলেখাকে 'জিকে দিদি' বলে কটাক্ষ করে অরিত্র তুলে ধরেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া বা কঙ্গনা রানাউতের উদাহরণ। দাবি করেন, এঁরা যার যার বায়োপিকে অভিনয় করেছেন (মেরি কম ও রানী লক্ষ্মীবাঈ), তাঁদের সঙ্গে অভিনেত্রীদের চেহারার কোনও মিল নেই।


এই পোস্টের উত্তরে পাল্টা আরও একটি পোস্ট করেন শ্রীলেখা। সঙ্গে বিনোদিনীর বেশে তাঁর ছবিও। দাবি করেন বিনোদিনীকে নিয়ে তাঁর যথেষ্ট পড়াশোনা রয়েছে। তবে এই পোস্টের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নেন শ্রীলেখা। তবে বিনোদিনী বিতর্কই তার কারণ কি না, সে কথা অবশ্য পরিষ্কার করেননি অভিনেত্রী।