মুম্বই: একজন তারকা একটা ছবি হাইজ্যাক করে নেওয়া মানে ক্রু সদস্যদের এতদিনের পরিশ্রমে জল ঢেলে দেওয়া। এটা নিকৃষ্টতম হারাকিরি ছাড়া কিছু নয়। আক্রান্ত ছবি নির্মাতারা কিছু করতে পারেন না, বাধ্য হয়ে ‘সসম্মানে চুপ’ করে থাকেন। রাক্ষুসে আত্মাভিমান এর ফলে যা ইচ্ছে করে বেড়ায়, ধ্বংস হয়ে যায় এক একটা ছবি। মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি ছবি নিয়ে উদ্ভূত বিতর্কে কঙ্গনা রানাওয়াতের নাম না করে এভাবেই ধিক্কার জানালেন আলিগড় ছবির চিত্রনাট্যকার অপূর্ব আসরানি।




মণিকর্ণিকা-র প্রযোজক কঙ্গনা হলেও পরিচালক ছিলেন কৃষ। কিন্তু অল্পদিন আগে কঙ্গনা জানান, ছবিটির যে সব দৃশ্য আবার শ্যুট করা হচ্ছে, সেগুলির পরিচালনা করছেন তিনি, প্যাচওয়ার্কও দেখছেন। এর মধ্যেই বিতর্ক বাড়িয়ে মণিকর্ণিকা-য় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকা সোনু সুদ ছবিটি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। এ নিয়ে কঙ্গনা অভিযোগ করেছেন, মহিলা পরিচালকের কথায় কাজ করতেন সোনু অনিচ্ছুক, তাই ছবি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে সোনু বলেছেন, কঙ্গনা তাঁর ভাল বন্ধু কিন্তু তাঁর এ কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পরিচালকের লিঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ তাঁর ক্ষমতা ও সাধ্য।

গত বছর অপূর্ব কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, সিমরন ছবির চিত্রনাট্য তিনি লিখলেও জোর করে অতিরিক্ত ডায়ালগ ও গল্প লেখক হিসেবে নিজের নাম ঢুকিয়েছেন অভিনেত্রী। এমনকী বলেছেন, পরিচালক হনসল মেহতার সঙ্গে বলে এক লাইনের চিত্রনাট্যটিকে পুরোপুরি গড়ে তুলেছেন তিনি। যদিও কঙ্গনা এই অভিযোগ মানতে রাজি হননি।