সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে গতকাল সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। তদন্ত নিয়ে বিহার পুলিশের সঙ্গে মুম্বই পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও। সেই আবহে সুশান্ত মৃত্যুর প্রকৃত বিচার চেয়ে টুইটে সরব রেণুকা। তাঁর টুইট, ‘‘সুশান্তের মৃত্যু যদি খুন হয়, তা হলে খুনিদের অবিলম্বে ধরতে হবে। এর পিছনে যদি ষড়যন্ত্র থাকে, তা হলে বিচার করতে হবে।পুলিশকে চাপমুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু মু্ম্বই ও বিহার পুলিশের এই চাপানউতোর একেবারেই কাম্য নয়।’’
সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে শুধু দুই রাজ্যের পুলিশের চাপানউতোর নয়, মহারাষ্ট্রের ঘরোয়া রাজনীতিতেও টানাপড়েন শুরু হয়েছে। গতকাল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী অমরুতা সরব হয়েছিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিন টুইটে রেণুকা নিশানা করেছেন তাঁকেও। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘সুশান্তের এই মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না। মুম্বই ও তার মানুষের বদনাম করতে একে ব্যবহার করবেন না। সম্ভব হলে আপনার সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে মু্ম্বই পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করুন।’’
অমরুতা গতকাল অভিযোগ করেছিলেন মুম্বই আর বসবাসের নিরাপদ নয়। মুম্বই পুলিশ মানবিকতা হারিয়েছে বলেও টুইট করেন অমরুতা। মুম্বই পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে রেণুকা বলেন, ‘‘মু্ম্বই লক্ষ লক্ষ মানুষকে খাদ্য-বাসস্থান দিয়েছে। বহু মানুষের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে এই শহর। কোভিড অতিমারিতেও মু্ম্বই পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে।’’ মুম্বই পুলিশ ও শহর নিয়ে অমরুতার এ ধরনের মন্তব্য যে একেবারেই ঠিক নয়, তাই বোঝাতে চেয়েছেন রেণুকা।
রাজনীতির জগতের মানুষ না হয়েও রাজনীতিকদের মতো অমরুতাকে আক্রমণ করেছেন রেণুকা। তুলে ধরেছেন দেবেন্দ্র আমলে এলফিনস্টোন ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনা। তখন বহু মানুষের মৃত্যু হলেও অমরুতা মু্ম্বইকে নিরাপদ মনে হচ্ছে না বা হৃদয়হীন বলে মন্তব্য করেননি।
সুশান্তের মৃত্যুর পরে বারবার নাম উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্যের। রেণুকার টুইট-প্রশ্ন, ‘‘গোটা দেশ প্রকৃত ঘটনা জানতে চায়। ‘নেপোকিড’ খুন করেছে। তার পরে এল বলিউড গ্যাং-এর নাম। তার পরে উঠল মানসিক অবস্থার কথা, সুশান্তের পরিবার দোষী সাব্যস্ত করছে রিয়া ও তাঁর বাবা-মাকে। এ বার উঠেছে আদিত্য ঠাকরের নাম। এই ধরনের কলঙ্কলেপন কি আমাদের সত্যের কাছাকাছি নিয়ে যাবে?’’