ইনস্টাগ্রামে অঙ্কিতা লিখেছেন, ‘‘যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটাতে চাই। যতটা সম্ভব নিজেকে স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করছি। ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ও যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে ফ্ল্যাটের ইএমআই কাটা হয়, তা দিলাম। এর চেয়ে বেশি আমার আর কিছু বলার নেই।’’ ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি (যেখানে দেখা যাচ্ছে ইএমআই কাটা হয়েছে) পোস্ট করেছেন অঙ্কিতা।
সেইসঙ্গে ফ্ল্যাট ক্রয়ের একটি ই-স্ট্যাম্প পেপারও অঙ্কিতা শেয়ার করেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে যে, অঙ্কিতার এই ফ্ল্যাট ২০১৩-তে কেনা হয়েছিল। এজন্য তিনি ৬.৭৫ লক্ষ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটিও দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, অঙ্কিতার ফ্ল্যাটের জন্য সুশান্ত ইনস্টলমেন্টে সাড়ে চার কোটি টাকা দিয়েছিলেন।
ইডির এক অফিসারকে উদ্ধৃত করে গত শুক্রবার সংবাদসংস্থা এএনআই টুইট করেছিল, ‘‘সুশান্ত সিংহ রাজপুত ও তাঁর বান্ধবী তথা অভিনেত্রী অঙ্কিতা যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, তার ইএমআই দিতেন প্রয়াত অভিনেতা। ওই ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি হয়েছিল সুশান্তের নামেই।’’
সুশান্তর দিদি শ্বেতা সিংহ কীর্তি অঙ্কিতার পোস্টে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, তুমি একজন ভিন্ন ধরনের মহিলা। তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত।
সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মহেশ শেট্টি লিখেছেন, তোমার নিজে বলার দরকার নেই। তোমাকে নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত।
উল্লেখ্য, সুশান্তের প্রাক্তন কর্মচারী রজত মেওয়াটি, পঙ্কজ দুবে, দীপেশ সবন্তকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে সুশান্তের পরিবারকে। গত ১৪ জুন মুম্বইয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুশান্তের মৃতদেহ। তার পরেই অভিনেতার বাবা কে কে সিংহ অভিযোগ করেছিলেন, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা সরানো হয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর পর টাকা তছরুপের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। ইতিমধ্যেই এই মামলায় ইডি দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রিয়ার বাবা ও ভাইকেও।