মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে একটি ডায়েরি নিয়ে। যা সুশান্তের মৃত্যুর পর উদ্ধার করা হয় তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে। সেই ডায়েরির বেশ কয়েকটি পাতা আবার ছেঁড়া! কেন? এই ছেঁড়া পাতাতেই কি লুকিয়ে রয়েছে কোনও রহস্য? যা তাঁর মৃত্যু-রহস্য থেকে সরাতে পারত পর্দা।

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাটের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে ইডি। অন্যদিকে, এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে যে রহস্য তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। আর এই প্রেক্ষাপটেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সূত্রের খবর, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর দু’দিন পর তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়েছিল ফরেনসিক দল। তখনই একটি ডায়েরি উদ্ধার করে ফরেনসিক দল। ডায়েরিটি খোলা অবস্থায় পড়ে ছিল। ডায়েরির কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল। কে ছিঁড়ল পাতাগুলি? এর নেপথ্যে কে থাকতে পারে? ঘনীভূত হয়েছে রহস্য।

ডায়েরির সেই পাতাতে কি এমন কোনও তথ্য ছিল, যা সামনে এলে অনেকে বিপদে পড়তেন? সেই পাতা ছিঁড়ে কি কাউকে আড়াল করা হয়েছে? এনিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।

সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, এরকম হাই প্রোফাইল অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় এত দেরি কেন? এই সময়ে কি সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে কোনও তথ্যপ্রমাণ গায়েব করা হয়েছে? সন্দেহ আরও জোরাল করেছে এই ডায়েরিটি থেকেই।

অন্যদিকে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানির দাবি, সুশান্ত ডায়েরি লিখতেন। আবার লেখা পছন্দ না হলে নিজেই কোনও কোনও সময় ছিঁড়েও ফেলতেন পাতা। তাই ছেঁড়া ডায়েরিতে কোনও রহস্য নেই। সেইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকে অনুরাগীরা অনেকেই তাঁকেও সন্দেহ করছেন। 'আমি আদৌ জানি না, ওরা সুশান্তের আদৌ ভক্ত কিনা, নাকি হঠাৎ রেগে গিয়ে এসব করছে। প্রাণহানির হুমকিও পাচ্ছি। আইন থেকে আইনের পথে চলতে দিন।'

এই প্রেক্ষাপটে মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করেছে বিহার পুলিশ। তাদের আইনজীবী কেশব মোহন হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ফরেনসিক রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ দিতে অস্বীকার করে মুম্বই পুলিশ। বারবার অনুরোধ করা হলেও কোনও সদর্থক জবাব মেলেনি।