মুম্বই: মিথ্যে অভিযোগে জর্জরিত করা হচ্ছে তাঁকে। লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন সুশান্তের সঙ্গে। ৮ জুন সেইসব পাট চুকিয়ে অভিনেতার ফ্ল্যাট ছাড়েন। সুপ্রিম কোর্টকে পিটিশনে জানিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী।
এরপরই ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাটে মেলে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। সেই মৃত্যুর কারণ নিয়েই তরজা অব্যাহত।
২৮ জুলাই, সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ রিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে পটনা পুলিশের কাছে এফআইআর করেন। এরপরই সারা দেশে রিয়ার বিরুদ্ধে রোষের আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত।
পরিস্থিতি রিয়ার প্রতিকূলে গেলেও, এবার তাঁর পাশে দাঁড়ালেন প্রয়াত অভিনেতারই এক বন্ধু। তিনি মুম্বই পুলিশকে একটি ই-মেল করে জানিয়েছেন, রিয়ার বিরুদ্ধে তাঁকে কথা বলতে চাপ দিয়েছিল সুশান্তের পরিবারই। তাঁর দাবি, সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় রিয়ার নাম জড়ানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সূত্রের খবর, রিয়া সুপ্রিম কোর্টে যে পিটিশন জমা দিয়েছেন, তাতে ওই ই-মেলটিও যুক্ত করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তি সুশান্ত ও রিয়া, উভয়েরই বন্ধু। নাম সিদ্ধার্থ। তাঁর দাবি, সুশান্তের পরিবারের তরফে একাধিক ফোন আসে। বলা হয়, লিভ-ইন করার সময় রিয়া খরচ নিয়ে নেতিবাচক কথা পুলিশকে জানাতে।
অভিযোগ, ২২ জুলাই থেকে একাধিক কল কনফারেন্স করা হয় তাঁর সঙ্গে। সেখানে ছিলেন সুশান্তের দিদি মিঠু সিংহও। ওই ফোনেই তাঁকে রিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে চাপ দেওয়া হয়। এমন বিষয় নিয়েও কথা বলতে চাপ দেওয়া হয়, যে ব্যাপারে তিনি জানেনও না।
তাঁর দাবি, হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে ফোন করা হয়। কলের সময় ছিস ৪০ সেকেন্ডের মতো। তাতে কিছুই রেকর্ড হয়নি।


সুশান্ত সিংহ রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ, কালাজাদু করার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন প্রয়াত অভিনেতার বাবা। এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে বিহার পুলিশ।অন্যদিকে, বিহার পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী।