নয়াদিল্লি: সুশান্ত সিংহ রাজপুত মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে। রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই তলব করেছে। এরইমধ্যে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে রিয়া অভিযোগ করেছেন যে, সুশান্ত যখন অবসাদের সঙ্গে লড়াই করছিলেন, তখন পাশে ছিল না পরিবার। রিয়ার এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন সুশান্তর দিদি শ্বেতা সিংহ কীর্তি। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, পরিবার সবসময়ই সুশান্তর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিল।
'গড ইজ উইথ আস', 'জাস্টিস ফর সুশান্ত সিংহ রাজপুত' ও 'অ্যারেস্ট রিয়া নাও'-এর মতো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি ট্যুইটে রিয়ার অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন শ্বেতা। তাঁর অভিযোগ, রিয়া নিজেকে বাঁচাতে সুশান্তর বিরুদ্ধে মাদক নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এভাবে সংবাদমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে সুশান্তর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করছেন রিয়া।
শ্বেতা রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তকে মাদক দেওয়া, আটকে রাখা ও বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ আরও একবার করেছেন। শ্বেতার অভিযোগ, রিয়ার চাপেই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে চণ্ডীগড়ে যাওয়ার পর তড়িঘড়ি ফিরে আসতে হয়েছিল সুশান্তকে।
শ্বেতার ট্যুইট- জানুয়ারিতে সুশান্ত রানিদিকে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। চণ্ডীগড়ে পৌঁছনোর পরই ২-৩ দিনের মধ্যে রিয়া সুশান্তকে ২৫ বার কল করেছিল। শ্বেতার প্রশ্ন, সুশান্তকে ডেকে পাঠানোর ক্ষেত্রে এই তাড়াহুড়োর কারণ কী?


শ্বেতা আমেরিকায় থাকেন। তিনি জানিয়েছেন, সুশান্তর শরীর খারাপের খবর শুনে তিনি অবিলম্বে ভারতে রওনা দেন। কিন্তু সুশান্তর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। কারণ, রিয়ার 'বিরক্তিকর কল' ও কিছু কাজ থাকার কারণে ততক্ষণে সুশান্ত চণ্ডীগড় থেকে চলে আসেন। শ্বেতা বলেছেন, পরিবার বরাবরই সুশান্তর পাশে ছিল।
ক্ষোভের সুরে শ্বেতা তাঁর ট্যুইটে বলেছেন, 'ওই মেয়েটির সঙ্গে ভাইয়ের কখনও দেখা না হলেই ভালো হত। কারুর অনুমতি না নিয়ে মাদক প্রদান এবং তাকে অসুস্থ বলে বিশ্বাস করানো, মনোবিদের কাছে নিয়ে যাও..কী ধরনের কারসাজি এ সব!! নিজের আত্মার কাছে স্বান্ত্বনা পাবে কী করে!!!'
সুশান্তর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়াত অভিনেতার বাবা রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সংবাদমাধ্যমে রিয়া সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দাবি করেছেন, সুশান্তর 'জীবনে একটি জিনিস তিনি নিয়ন্ত্রণ করার' চেষ্টা করেছিলেন, তা হল মাদকের ব্যবহার বন্ধ করা।
রিয়ার অভিযোগ, তাঁকে অকারণে নিশানা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তাঁর পরিবারের ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে।