মুম্বই: বাঙালি সুন্দরী সুস্মিতা সেনের (Sushmita Sen) অভিনয় থেকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, সমস্ত কিছুই চর্চায় থাকে। তিনি নিজের জীবন নিজের শর্তে বাঁচেন। বিবাহিত না হয়েও দুই সন্তানের মা সুস্মিতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দর্শকদের আগ্রহের অভাব যেমন নেই। তেমনই কোনও প্রকার বিতর্কে কান দেন না অভিনেত্রী। সম্প্রতি টুইঙ্কল খন্নার (Twinkle Khanna) ইউটিউব চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন সুস্মিতা। সেখানেই প্রথম ছবির শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। জানালেন, প্রথম ছবির শ্যুটিংয়ের সময় কীভাবে প্রকাশ্য অপমান ও আক্রমণ করেন পরিচালক মহেশ ভট্ট (Mahesh Bhatt)।


মহেশ ভট্ট প্রসঙ্গে সুস্মিতা সেন-


সম্প্রতি বলিউডের আরও অভিনেত্রী টুইঙ্কল খন্নার ইউটিউব চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুস্মিতা সেন। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকের নানা স্মৃতিচারণা করছিলেন দুই অভিনেত্রী। স্মৃতিচারণায় সুস্মিতা জানাচ্ছেন, সবে তখন তিনি মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ফেরার পরই পরিচালক মহেশ ভট্ট তাঁকে ডাকেন। প্রথম ছবির প্রথম দৃশ্যের শ্যুটিং চলছিল। আর সেখানেই প্রকাশ্যে মহেশ ভট্ট তাঁকে অপমান করেন, আক্রমণও করেন।


আরও পড়ুন - Dharmajuddha Release Date: ফের বদলে গেল 'ধর্মযুদ্ধ'-র মুক্তির দিন, কবে প্রেক্ষাগৃহে আসবে মাল্টিস্টারার এই ছবি?


সুস্মিতা সেন বলছেন, 'ও (মহেশ ভট্ট) একজন অসাধারণ পরিচালক। প্রথম ছবির প্রথম দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের সময় আমার রাগ প্রকাশ করার দৃশ্য ছিল। সেই সময় হঠাৎই তিনি আমাকে অপমানিত করতে শুরু করেন। ৪০জন সংবাদ মাধ্যমের কর্মী, ২০জন প্রোডাকশনের কর্মী, প্রকাশ্যে আমাকে তিনি আক্রমণ করেন। আর আমি কাঁদতে শুরু করি। তিনি বলতে থাকেন, 'কী নিয়ে এসেছো? ক্যামেরার সামনে মিস ইউনিভার্সকে দেখাবে এভাবে? ও নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যও অভিনয় করতে পারে না।' আমি মারাত্মক রেগে যাই। সেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য হাঁটতে শুরু করে দিই। তখন মহেশ ভট্ট আমার হাতটা চেপে ধরার চেষ্টা করেন। আমি প্রচন্ড রেগে গিয়ে হাতটা ছিটকে নিয়ে বলি, 'আপনি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারেন না।' ফের আমি হাঁটতে শুরু করে দিই। ফের তিনি আমার হাত ধরেন আর বলেন, 'এটাই রাগ। যাও ফিরে যাও আর করে দেখাও।' এটাই মহেশ ভট্ট।'


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ওটিটিতে আত্মপ্রকাশ হয় সুস্মিতা সেনের। ওয়েব সিরিজ 'আরিয়া'তে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হন অভিনেত্রী।