নয়াদিল্লি: ‘আশিক বনায়ে আপনা’ ছবিতে ইমরান হাসমির সঙ্গে খোলামেলা পোশাকে তনুশ্রী দত্তের গানের দৃশ্য এখনও বহু লোকের মনে থেকে গিয়েছে। তারপর ‘ঢোল’, ‘রিস্ক’, ‘গুড বয়- ব্যাড বয়’, ‘স্পিড’, ‘রোক’, ‘অ্যাপার্টমেন্ট’-এর মতো একাধিক ছবিতে তনুশ্রীকে দেখেছেন দর্শকরা। জামশেদপুরের মেয়ে, ২০০৪ সালে মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের শিরোপা জেতেন।তারপর কোনও এক অজ্ঞাত কারণে গত প্রায় একদশক আর পর্দায় দেখা যায়নি তনুশ্রীকে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার সময় ভাইরাল হয় তনুশ্রীর ছবি। কিঞ্চিত স্থূলকায় সেই তনুশ্রী আচমকাই বিস্ফোরক একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন।

তনুশ্রী, বলিউড অভিনেতা নানা পটেকরের বিরুদ্ধে তাঁকে শ্যুটিং সেটে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। তারপরই তনুশ্রীর দাবি, এই ঘটনা সম্পর্কে ইন্ডাস্ট্রির বহু লোক জানলেও, কেউ একটি প্রতিবাদও করেননি।

তনুশ্রী তাঁর সাক্ষাতকারে বলেছেন, টিনসেল টাউনের প্রত্যেকেই জানেন, নানা পটেকর মহিলাদের প্রতি সবসময়ই ভীষণ রূঢ়। মহিলাদের হেনস্থা করার অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে নানা পটেকরের বিরুদ্ধে। এটা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম না বলা সত্য।

২০০৮ সালের ঘটনা। ‘হর্ন ওকে প্লিজ’-এর সেটে প্রথমে নানা পটেকর তনুশ্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। তারপর জোর করে অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি দৃশ্য করতে চান, যেটা চিত্রনাট্যে লেখা ছিল না। প্রযোজক সামি সিদ্দিকি, পরিচালক রাকেশ সরণ, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য সকলে এই ঘটনা সম্পর্কে জানতেন। তাঁরা সেসময় সংবাদমাধ্যমকে ডেকে তনুশ্রীকেই হেনস্থা করান। এদিকে নানা পটেকর সেই রাজনৈতির দলে অভিনেত্রী সম্পর্কে মিথ্যা রটনা করেন, যাঁদের শ্যুটিং সেটে এসে ভাঙচুর চালানোর কুখ্যাতি আছে।

তনুশ্রীর আরও অভিযোগ, অক্ষয় কুমার, রজনীকান্ত..যাঁরা নারীদের প্রাপ্য সম্মান, ক্ষমতায়ন নিয়ে সওয়াল করেন, তাঁরাও এই ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। যদিও কোনও দিনই নানা পটেকরের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলেননি। পরবর্তী সময় তাঁরা একসঙ্গে কাজও করেছেন।