কলকাতা: একদিকে কর্মজীবন, অন্যদিকে প্রেম। এই দুয়ের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে বেশ পটু এই জুটি । ১০ বছরের সম্পর্কের রসায়ন এবার রুপোলি পর্দায়। সামনেই মুক্তি পাচ্ছে নতুন ছবি, ‘ম্যাজিক’। আর সেইদিনই নাকি প্রেমের বর্ষপূর্তি অঙ্কুশ হাজরা ও ঐন্দ্রিলা সেনের। প্রেমের সপ্তাহটা কেমন করে কাটাচ্ছেন টলিউডের হ্যাপেনিং এই যুগল? খোঁজ নিল এবিপি আনন্দ।



প্রথমবার প্রেমিকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন অঙ্কুশ। শ্যুটিং ফ্লোর থেকে শুরু করে ছবির প্রচার, কেমন অভিজ্ঞতা হল নায়কের? অঙ্কুশ বলছেন, ‘আমি আর ঐন্দ্রিলা ২ জনেই ছবিটা নিয়ে খুব আশাবাদী। প্রায় ২ বছর পর আমার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। আর ঐন্দ্রিলা তো ১৪ বছর পর আবার ফিরছে বড়পর্দায়। ‘ম্যাজিক’ –এর টিজার, ট্রেলার সবকিছুই বেশ পছন্দ করেছেন দর্শকরা। ১০০ শতাংশ দর্শকাসন ভর্তির অনুমতির পর মুক্তি পাওয়া ৪টি ছবির মধ্যে একটি ‘ম্যাজিক’। আমি তো বলব অনেকদিন এমন অন্যধারার ছবি বাংলায় আসেনি। আশা করি দর্শকদেরও খুব ভালো লাগবে। আমরা ১২ তারিখের অপেক্ষা করছি।’



দীর্ঘদিনের প্রেমিকার সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্স করা কতটা কঠিন? ‘খুউউব কঠিন’, হেসে ফেললেন অঙ্কুশ। তারপর বললেন, ‘আমি আর ঐন্দ্রিলা মোটেই একেবারে ফিল্মি জুটি নই। ভীষণভাবে বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলি। সিনেমায় যেমন করে প্রেম হয়, রোজকার জীবনে ঠিক তেমন হয় না। প্রথম প্রথম ক্যামেরার সামনে একটু অস্বস্তি হয়েছে একথা অস্বীকার করব না। তবে আমরা কেউই অভিনয়ে নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় করে আসছি। আমাদের বোঝাপড়ার জন্যই ওই অস্বস্তিটা কেটে যায় ২-৩ দিনে। অন্য নায়িকা ফ্লোরে থাকলে যেমন করে শ্যুটিং করি, সেভাবেই করেছি। দৃশ্য শেষ হওয়ার পর যে যার ভ্যানে ফিরে যেতাম, চিত্রনাট্য অভ্যাস করতাম। আবার ফ্লোরে দেখা হত।’



সদ্য ফ্ল্যাট কিনেছেন অঙ্কুশরা। কর্মজীবনে সফল এই জুটি বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়বেন কবে? অঙ্কুশ বললেন, ‘কোভিডের জন্য একটা বছর পিছিয়ে গেলাম আমরা সবকিছু থেকে। আর এখন এত কাজের চাপ, দুই পরিবারের সবাইকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে বসাই হচ্ছে না। তবে একসঙ্গে থাকব বলেই তো ফ্ল্যাটটা কেনা।’ আর প্রেমের সপ্তাহ যাপনের পরিকল্পনা? ‘আমরা দুজনেই প্রচণ্ড হইচই করতে ভালোবাসি। একা ২ জন গিয়ে ক্যান্ডেললাইট ডিনার করার চেয়ে আমরা বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করতে ভালোবাসি। প্রত্যেক বছর ভ্যালেন্টাইনস ডে তে আমি অনুরাগীদের নিয়ে কোনও না কোনও অনুষ্ঠান করি। বন্ধুদের সঙ্গে কাটাই।’ বললেন অঙ্কুশ। যদিও ঘুরতে যাওয়ার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি বলতে নায়কের মনে পড়ে দুবাই ভ্রমণের কথা। সেই ট্রিপে প্রথমবার বিদেশ গিয়েছিলেন ২ জন। একা।



আজ টেডি ডে। অঙ্কুশের সবচেয়ে প্রিয় টেডি কি ঐন্দ্রিলা? ‘বলতে পারেন।’ হেসে ফেললেন অঙ্কুশ। তারপর বললেন, ‘ঐন্দ্রিলা টেডি উপহার পেতে ভীষণ ভালোবাসে। ওর সবচেয়ে বড় টেডিবিয়ার ২টো আমারই দেওয়া। সেইগুলোকে খুব যত্ন করে রেখেছে ও।’ আর অঙ্কুশের পছন্দের উপহার? ‘আমার গ্যাজেট, গেম আর গাড়ির শখ। কেউ একটা প্লেস্টেশনের গেম দিলেই আমি খুশি।’



ভ্যালেন্টাইনস ডে তে কী করবেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা? ‘ছবির প্রচারেই কেটে যাবে। এই বছর বিশেষ কোনও পরিকল্পনা নেই। আর সন্ধেবেলা নীল-তৃণার রিসেপশনে যাব। ওখানেই মজা করব। বললাম না, আমরা সবাইকে নিয়ে আনন্দ করতে ভালোবাসি।’