কলকাতা: বাংলায় 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন এই ছবিকে বাংলায় নিষিদ্ধ করার। আর এই সিদ্ধান্তকেি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন ছবির নির্মাতারা। সেই মামলার শুনানি হবে ১২ মে।
ঠিক এক বছরের ব্যবধান। আবারও সত্য বনাম উত্তর সত্যের লড়াই। নেপথ্যে আবারও সিনেমা। এক বছর আগে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছিল। এ বার বিতর্ক ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিকে ঘিরে (The Kerala Story)। আর সেই বিতর্কে জড়িয়ে গেল বাংলাও। অসত্য এবং বিকৃত তথ্যে ভর করে, বিশেষ উদ্যেশ্য চরিতার্থ করতে ছবিটি বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ। শান্তি এবং সম্প্রীতি রক্ষার্থে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলায়। তৃণমূল সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে (The Kerala Story Controversy)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, এই ধরনের ছবি অশান্তি ছড়াতে পারে, উত্তাল করে তুলতে পারে রাজ্যের পরিস্থিতি। আর তাই গোটা পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবির শো। তামিলনাড়ুতে অবশ্য দর্শকের অভাবে বেশ কিছু মাল্টিপ্লেক্সে বাতিল হয়েছে 'দ্য কেরালা স্টোরি'-র একাধিক শো।
গিল্ড অফ ইন্ডিয়া একটি স্টেটমেন্টে জানিয়েছে, দর্শক নিজে পছন্দ করবেন কোন ছবি তাঁরা দেখবেন বা কোন ছবি দেখবেন না। কোনও রাজ্য বা কোনও রাজনৈতিক দলের বিশেষ কোনও একটি ছবিকে নিষিদ্ধ করার কোনও অধিকার নেই। সেন্ট্রাল বোর্ড ছাড়া আর কারও কোনও ছবি নিষিদ্ধ করার অধিকার নেই। দর্শকের ওপর বিশ্বাস রাখতেই হবে।'
পরিচালক সুদীপ্ত সেনের প্রথম বাণিজ্যিক ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবিটির একঝলক সামনে আসার পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ছবির প্রেক্ষাপট পশ্চিম এশিয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী সংগঠন ISIS-কে ঘিরে। কেরল থেকে একদল মেয়ে কী ভাবে তাদের ফাঁদে পড়েন, ধর্মান্তরিত হয়ে আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে পৌঁছে যান এবং সর্বোপরি কী তাঁদের পরিণতি হয়, এই গল্পই বুনেছেন পরিচালক। আগামী ১২ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে এই ছবি নিয়ে।
আরও পড়ুন: Walking Fact: পার্ক না কি ট্রেডমিল? দৌড়নোর লাভ কোথায় বেশি? কোনটা বাছবেন?
আরও পড়ুন: Skin Care Tips: মুখের ত্বকে ভুল করেও ব্যবহার করবেন না এইসব উপকরণ