কলকাতা : নাট্যব্যক্তিত্ব স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের জীবনাবসান। বিভিন্ন নাট্যব্যক্তিত্ব তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। স্বাতীলেখাদেবী কেমন মানুষ ছিলেন, স্মৃতিচারণায় সেকথা তুলে ধরলেন নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন।
এবিপি আনন্দকে তিনি বলেন, "ওঁর সাথে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়নি। সিনেমায় করেছি। শিবুর ছবি 'বেলাশুরু'-তে। কিন্তু, থিয়েটারটা সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা ঘটনা। থিয়েটার দেখাটা, সিনেমা দেখার থেকে অন্যরকমের অভিজ্ঞতা। সেখানে দর্শকরা যত দূরেই বসুক না কেন, একটা সংযোগ তৈরি হয়। সেখানে থিয়েটারের লোক যখন আর একটা থিয়েটার দেখতে বসে তখন সংযোগটা কোথাও আরও গভীর এবং আরও নিবিড় হয়। স্বাতীদির অসংখ্য পারফরম্যান্স কম বয়স থেকে দেখেছি। পারিবারিক কারণেই থিয়েটার দেখাটা শুরু অনেক ছোটবেলা থেকেই। স্বাতীদির পরিচালিত নাটকও দেখেছি। ওঁর পরিচালিত একটি নাটকে সোহিনী মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দারুণ ছিল সেই প্রোডাকশনটা। সেটা নিয়ে লিখেওছিলাম। ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরেও যোগাযোগটা ছিল। ওঁর অসুস্থ হওয়ার সময় যখন বাড়িতে ছিলেন, তখন গভীর রাতে ওঁর সাথে একবার কথা হয়। তখন আমার নিজের করোনা হয়েছিল। ফলে অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমাদের থিয়েটার ওঁরা নিয়মিত দেখতে এসেছেন। স্বাতীদি সবসময় এসেছেন।
এর পাশাপাশি একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেন কৌশিক। বলেন, "খুব মজার এখটা জিনিস বলি, ঠিক মনে পড়ছে না কোন একটা নাটক। রুদ্রবাবু এবং স্বাতীদি দুই জনেরই একসঙ্গে আসার কথা। সম্ভবত ম্যাকবেথ। গিরিশ মঞ্চে শো আছে। কিছুতেই রুদ্রবাবুর সময় হচ্ছে না। একদিন ফোন করেছিলাম, তখন স্বাতীদি বলেন, আমি জানি না রুদ্রবাবু কবে যেতে পারবেন, তবে আমি আজকে অবশ্যই যাব। যদিও সেদিন ওঁরা দুজনেই এসেছিলেন। ওই কথাটা মনে থাকবে, কারও জন্য অপেক্ষা করতে পারব না। আজকে তোমাদের নাটকটা আমি দেখে নিতে চাই। এরকমভাবে খুব ভালবেসে, আদর করে আমাদের নাটক দেখেছেন। উৎসাহ দিয়েছেন। সেইসব কথায় এখন মনে পড়ছে।"